<p>অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত এ আদেশ দেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সুদহার বাড়িয়েও কমছে না মূল্যস্ফীতি, খাদ্যে ফের ১২.৬৬" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730979819-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সুদহার বাড়িয়েও কমছে না মূল্যস্ফীতি, খাদ্যে ফের ১২.৬৬</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/07/1443905" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিন তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানিতে তিনি জামিনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তার বয়স বিবেচনা করে যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে ৪ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। </p> <p>গত ১ নভেম্বর অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক মোল্লা জালাল ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন এক নারী।</p> <p>এজাহারে তিনি নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। মামলায় বলা হয়, ‘মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। আমি একজন সংগীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেস ক্লাবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাধে মোল্লা জালালের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে শাহবাগ থানাধীন শিল্পকলা মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানের সামনে আসামি মোল্লা জালালের একজন লোক রানার সঙ্গে আমার কথা-কাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন মীমাংসা করে দেন। আমি সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করি। রাত সাড়ে ৭টার সময় হাইকোর্ট গেটের নিকট পৌঁছালে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন লোক আমার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়া যান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আরাকান আর্মির হাতে অপহৃত ২০ জেলে তিন দিন পর উদ্ধার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730978772-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আরাকান আর্মির হাতে অপহৃত ২০ জেলে তিন দিন পর উদ্ধার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/07/1443901" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উক্ত স্থানে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম এবং অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি আমাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। অন্য আসামিদের সহায়তায় আসামি মোল্লা জালাল শ্লীলতাহানি করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে আসামি আমাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরদিন ভোর অনুমান ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গাড়িতে করে আমাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের নিকটে রাস্তায় রেখে চলে যান। আমি বাসায় ফিরে আমার ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করায় বিলম্ব হয়।’</p>