<p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আমুর এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ কিরণ ও স্ত্রী রাফেজা মজিদেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">এদিন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আমুর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টি আর/কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে অর্থপাঁচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন, এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ কিরণ এবং তার স্ত্রী রাফেজা মজিদ দেশ ছাড়তে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন গত ৭ নভেম্বর তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র।</p>