<p>দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজীবুল আলম নামে রাজধানীর ডেমরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুই চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে এ রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন ভুক্তভোগী নিজে ও তার পরিবার। </p> <p>রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। </p> <p>দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। </p> <p>দণ্ডিত আসামিরা হলেন- বিজয় ওরফে শামীম আহম্মেদ, দ্বীন ইসলাম, মো. ইকবাল, নাছু ওরফে নাসির উদ্দিন ও রাজিব ওরফে মোটা রাজিব। </p> <p>খালাস প্রাপ্তরা হলেন- রিপন, রাশেদ, তপন ও রাসেল ওরফে রোসেল ওরফে মমিতুর রহমান। </p> <p>রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভিকটিম রাজীবুল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমার চোখ উপড়ানোর ঘটনার সঙ্গে ১০ জন আসামি জড়িত ছিল। কিন্তু আদালত চারজনকে খালাস দিয়েছেন। সমান অপরাধ করেও বাকিরা কীভাবে খালাস পায়? আমরা উচ্চ আদালতে যাব।</p> <p>রায়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে রাজীবুলের স্ত্রী মলি আক্তার বলেন, ১৬ বছর আগে আমার স্বামীর চোখ উপড়ে ফেলা হয়। সন্তানসহ কতটা কষ্ট নিয়ে আমরা জীবনযাপন করছি। অথচ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা খালাস পেয়ে গেল। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব। </p> <p>মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে রিকশাযোগে ভিকটিম রাজীবুল আলম ডেমরায় বোর্ড মিল এলাকা থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথের মধ্যে আসামিরা রিকশা আটকিয়ে ভিকটিম রাজীবুল আলমকে একটি ফাঁকা প্লটে নিয়ে যায়। এরপর তার হাত পা বেঁধে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলে। </p> <p>এই ঘটনায় রাজীবুলের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে ডেমরা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামি রুবেল ২০১০ সালের ১৬ মার্চ র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়। ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটি বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।<br />  </p>