৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

কারাগারে পাঠানো ৩ কর্মকর্তা হলেন রাজধানীর মিরপুর বিভাগের সাবেক এডিসি মইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন ও রামপুরা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে : মাহফুজ

বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে : মাহফুজ

 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) তাদের হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এই আদেশ দেন। গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

আদেশের পর প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে একজন ছাত্রকে মুখ চেপে ধরার ছবি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন আরশাদ। আর রাজধানীর রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরকে বারবার গুলি করা হচ্ছিল।

সেই গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তা হলেন চঞ্চল চন্দ্র সরকার।’

আরো পড়ুন
চাঁদার হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি : সারজিস

চাঁদার হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি : সারজিস

 

প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলন চলার সময় এডিসি মইনুল মিরপুরের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় মিরপুরে অনেক মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। সংঘটিত অপরাধে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন।

ট্রাইব্যুনাল আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং মইনুল ইসলাম ও চঞ্চল চন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি আগামী ২৪ মার্চ রাখা হয়েছে বলে জানান এ দুই প্রসিকিউটর।

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৩০ জন আসামি কারাগারে আছেন। আর ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত ১০৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আসামিকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন

স্কুলছাত্র জিসান হত্যা মামলার তদন্তকারী সাহিদুল বিশ্বাসকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্কুলছাত্র জিসান হত্যা মামলার তদন্তকারী সাহিদুল বিশ্বাসকে তলব
সংগৃহীত ছবি

ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে এক দশক আগে ঢাকার সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলার আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের ব্যাখ্যা জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাহিদুল বিশ্বাসকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে আদালতে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সাহিদুল ইসলাম সে সময় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ছিলেন। তাঁর পদবি ছিল উপপরিদর্শক (এসআই)।

চার বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে হেফাজতে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

আয়াজ হত্যা মামলার আপিল শুনানিতে তা উঠে আসলে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ তলবের আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান আসামির পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৪ সালে জিসানকে দুইবার রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ তার স্বীকারোক্তি আদায় করে।

নির্যাতনের পর জিসানের পায়ে পচন ধরে যায়। তখন তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ভর্তি করাতে হয়। সে সময় টানা ১৫ দিন চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। চিকিৎসার পরও জিসান স্বভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলে।
এখন পর্যন্ত তার এক পা অনুভূতিহীন। এ বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেছি, রেকর্ড থেকে দেখিয়েছি। এরপর আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তা সাহিদুল বিশ্বাসকে তলব করে তার এমন আচরণের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন।’

২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিসানকে দেখতে গিয়ে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন জিসানের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে এ ধরনের নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

জিসানকে যারা নির্যাতন করেছেন, তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

সেই সময় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শিশির মনির বলেন, ‘১০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে এসআই সাহিদুল বিশ্বাস ১৫ বছর ৯ মাসের শিশু জিসানকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। তাকে প্রায় পঙ্গু করে ফেলা হয়। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।’ 

আরেক প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, ‘এসআই সাহিদুল বিশ্বাস বর্তমানে কোথায় আছেন, কোন পদে আছেন, তা আমরা জানি না। তবে রেকর্ডে তার ঠিকানা আছে। সে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হবে। এই পুলিশ কর্মকর্তার হাজির নিশ্চিত করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও এ বিষয়ে চিঠি যাবে কোর্ট থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আদালতকে এটিও বলবো যে, সাহিদুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু আইনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কারণ এই মামলার ভুক্তোভোগী পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে এই কাজ করিয়েছেন। শুধু তাই না, বিচারিক কর্মকাণ্ডেও তিনি বাধাগ্রস্ত করেছিলেন তখন। আমার বিশ্বাস, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সব তথ্য বের হয়ে আসবে। কেন তিনি (সাহিদুল বিশ্বাস) নির্যাতনের আশ্রয় নিয়ছিলেন। কে তাকে নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা সেই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও তুলে আনতে চাই। এই মামলায় শুধুমাত্র প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকেই ব্যবহার করা হয়নি, বিচারিক প্রক্রিয়াকেও অত্যন্ত উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে বিচার নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৯ জুন ঢাকা সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলা নিয়ে আয়াজের বড় ভাই ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথাকাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।ওইদিন বিকালে জিগাতলা যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে আসামিরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় আয়াজের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শহীদুল হক ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমণ্ডি থানার এসআই সাহিদুল বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৪ নভেম্বর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। বিচার শেষে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামিদের মধ্যে ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আর তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জিসান এবং তৌহিদুল ইসলাম শুভ। দণ্ডিতদের মধ্যে জিসান কারাগারে, শুভ জামিনে আর অন্য আসামিরা পলাতক বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।

মন্তব্য

ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা : নারাজি বিষয়ে আদেশ ১৮ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা : নারাজি বিষয়ে আদেশ ১৮ ফেব্রুয়ারি
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ। এ অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী সেলিম জাবেদ আদালতে এ নারাজি দাখিল করেন। নারাজিতে উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। এ জন্য মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। পরে আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

 

এ সময় ভুক্তভোগী তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে তারা এ নারাজি দাখিল করেছে। আমরা চাচ্ছি, অভিযোগ পত্রটি যেন আদালত গ্রহণ করে বিচার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করেন।’

পরে শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে তদন্ত শেষে গত ১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত আসামিরা হলেন ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। এদের মধ্যে প্রথম ৬ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

জানা গেছে, তোফাজ্জল নামের ওই যুবক গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বঙ্গবাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী এফএইচ হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যান।

সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাঁকে হলের অতিথি কক্ষে এনে ব্যাপকভাবে মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।

মন্তব্য

সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজ, বেনাপোল কাস্টম হাউসের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী ও তার স্ত্রী হোসনা ফেরদৌস সুমি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের, দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব সালাম সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজের এবং দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুমির দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন মঞ্জুর করেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হকের আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারি কাজে কমিশন গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

অনুসন্ধানকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

ফরিদ আজিজের আবেদনে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক বিদেশে অর্থপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ফরিদ আজিজ গোপনে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় তিনি দেশ ত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রয়োজন।

কাস্টম হাউসের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ বেলালের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইসহ ঘুষ, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে দেশে, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তা ছাড়া তিনি তার ভাইসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডেভেলপার, রিয়েল এস্টেট কম্পানিসহ শেয়ারবাজারে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার অবৈধ অর্জিত অর্থ তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভিন্ন মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন বলেও অনুসন্ধানকালে তথ্য পাওয়া যায়।

মন্তব্য

সাবেক এমপি আনার অপহরণ, তদন্ত প্রতিবেদন ৬ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক এমপি আনার অপহরণ, তদন্ত প্রতিবেদন ৬ মার্চ
সংগৃহীত ছবি

কলকাতার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।  

আরো পড়ুন
সুন্দরবনে প্রায়াই দেখা মিলছে বাঘের, রক্ষার দাবি বিশেষজ্ঞদের

সুন্দরবনে প্রায়াই দেখা মিলছে বাঘের, রক্ষার দাবি বিশেষজ্ঞদের

 

এ মামলার আসামিরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, শিমুল ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া, কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু, শিলাস্তি রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী। 

এদের মধ্যে মিন্টু বাদে অপর ছয় আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরো পড়ুন
কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, জানালেন অর্জুন

কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, জানালেন অর্জুন

 

 

গত ২২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার পর সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ