ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

কারাগারে নেওয়ার সময় সাবেক মন্ত্রী ফরহাদকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ

মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
কারাগারে নেওয়ার সময় সাবেক মন্ত্রী ফরহাদকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ
ছবি : কালের কণ্ঠ

সন্ত্রাস দমন আইন মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন দোদুল ও তার ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলের তিন দিন করে এবং ও অন্য একটি মামলায় ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী শুনানি শেষে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন নাহার এ আদেশ দেন। এদিকে দুপুর ২টার দিকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও বিএনপির কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং সাবেক মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন।

আরো পড়ুন
সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ

সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ

 

মামলায় সরকারি পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, কামরুল হাসান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মানষ রঞ্জন ঘোষ সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর সেলিম এবং আসামি পক্ষে শফিকুল আলম, ইব্রাহিম শাহীন, কাজী শহিদুল হক আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী, তার ভাই ও ভগ্নিপতিকে আদালতে হাজির করার খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী আদালত চত্বর ঘিরে রাখে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

আরো পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যা জানা গেল

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যা জানা গেল

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে একটি মামলার আসামি হিসেবে ৩ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর।

আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, মারুফ আহম্মেদ বিজন এবং মোখলেছুর রহমান স্বপন উপস্থিত ছিলেন।

একই সঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রিমান্ড না দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মতিন, এ কে এম শফিকুল আলম, ইব্রাহিম শাহীন।

আরো পড়ুন
এবার মতিউরের মেয়ে ইপ্সিতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এবার মতিউরের মেয়ে ইপ্সিতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

 

এদিকে রিমান্ড শুনানিকালে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। আসামিদের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেন তারা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুদকের মামলায় জামিন পাননি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুদকের মামলায় জামিন পাননি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী
ছবি: কালের কণ্ঠ

দুর্নীতির দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন কারাগারে আটক আসামি সাধন চন্দ্র মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর এ আদেশ দেন। পরে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত বছর ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

এরপর তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এরপর ১৯ ডিসেম্বর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৮ টাকার টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন এই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারি পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। গত ২৯ জানুয়ারি তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

মন্তব্য

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন। রায়ের পর, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা।’ রবিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন

বৃহত্তর নোয়াখালী জনকল্যাণ ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বৃহত্তর নোয়াখালী জনকল্যাণ ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

 

আবরারের হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্তে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থী আসামি হন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এর পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা করেন।

আরো পড়ুন

ঠাকুরগাঁওয়ে গরু বলে গর্ভবতী ঘোড়ার মাংস বিক্রি

ঠাকুরগাঁওয়ে গরু বলে গর্ভবতী ঘোড়ার মাংস বিক্রি

 

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে বলা হয়, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন, এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবং পরে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির মধ্যে রয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদাধিকারী, যাদের মধ্যে মেহেদী হাসান রাসেল, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার অপু, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন প্রমুখ।

আরো পড়ুন

ঈদ যাত্রা : অনলাইনে যেভাবে কাটবেন ট্রেনের টিকিট

ঈদ যাত্রা : অনলাইনে যেভাবে কাটবেন ট্রেনের টিকিট

 

এছাড়া, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে আছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, আকাশ হোসেন এবং মোয়াজ আবু হোরায়রা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ৩৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

মন্তব্য

আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন।


২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।

’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এস এম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আবরার হত্যা মামলা : হাইকোর্টের রায় ঘোষণা চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আবরার হত্যা মামলা : হাইকোর্টের রায় ঘোষণা চলছে
সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনাচ্ছেন।

এর আগে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

পরে গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) মামলাটি কার্যতালিকায় রবিবার রায় ঘোষণার জন‍্য রাখা হয়। 

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এস এম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

আরো পড়ুন
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩১

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩১

 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইন বিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।  

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ