বাংলাদেশে গালি দেওয়ার শাস্তি কী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে গালি দেওয়ার শাস্তি কী?
ছবি : চ্যাটজিপিটি

কাউকে ‘গালি’ দেওয়া যাবে কিনা, বাংলাদেশের আইনে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা নেই। তবে ‘কেউ মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা যায়’ বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

কিন্তু কোন ধরনের বক্তব্য মানহানিকর, আইনে তা খুব সীমিতভাবে বলা আছে। এক্ষেত্রে ‘কোন শব্দটা মানহানির, তা সমাজের প্রথা হিসাবে ধরে নিতে হবে’ বলে জানান এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘মানহানিকর বলতে এর আওতায় গালি দেওয়ার বিষয়কেও আনা যায়। আইনে গালি শব্দটা বলা নেই।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘আইনে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। বরং, কাউকে গালি দিয়ে অপমান করা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মানহানির মামলাগুলো ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারা অনুযায়ী পরিচালিত হয়। দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারামতে, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান প্রতীকের সাহায্যে নিন্দা প্রণয়ন বা প্রকাশ করে, তাহলে তাতে ওই ব্যক্তির মানহানি হয়েছে মর্মে গণ্য হবে। মৃত ব্যক্তিরও খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট হয়, এমন কোনো বক্তব্য দিলেও এই ধারায় মানহানির মামলা হতে পারে।

দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে বিনা শ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কথাও বলা আছে।

এছাড়া, অনলাইনে যদি মানহানিকর বক্তব্য দেয়, তার জন্যও আইনি বিধান আছে।

চলতি বছর পাস হওয়া ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসাবে ধরা হবে এবং এ জন্য তিনি অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ আইনে মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়নি।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কেবল তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, যখন স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিশ্চিত করা হয়।’ 

সোমবার (১৭ মার্চ) এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতি।


 

আরো পড়ুন
আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ, যা বলছে ঢাকা ওয়াসা

আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ, যা বলছে ঢাকা ওয়াসা

 


অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। তাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। বিচার বিভাগের স্বতন্ত্র সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে টেকসই ও অর্থবহ করে তুলতে সক্ষম হবে।’

আরো পড়ুন
বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি

 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যদের মেধা, আইনি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ দেশে ন্যায়বিচার, দক্ষতা ও জবাবদিহিমূলক বিচারিক সংস্কারে ভূমিকা রাখবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনালের মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টর আইনজীবী মনির হোসেন।

মন্তব্য

নতুন দলের নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট

বাসস
বাসস
শেয়ার
নতুন দলের নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসানাত কাইয়ুম রবিবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী হাসানাত কাইয়ুম বলেন, ‘ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে আমরা গতকাল রিট করেছি।

এই রিটে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয় চ্যালেঞ্জসহ আরো কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন
কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা আয়োজন ছাত্রদলের

কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা আয়োজন ছাত্রদলের

 

গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।

মন্তব্য

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘শক্তি দই’ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘শক্তি দই’ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বাতিল
সংগৃহীত ছবি

গ্রামীণ শক্তি দইয়ে ভেজালের অভিযোগে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

২০১০ সালে বংশালের একটি দোকান থেকে ১০০ গ্রামের একটি দইয়ে ভেজাল পাওয়ার অভিযোগ আনে তৎকালীন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন। পরে ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি দোকানের মালিক মো. আবুল কাশেম, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মো. তুষার এবং গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহা. কামরুল হাসান মামলা করেন।

এ মামলায় ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিন পান ড. ইউনূস। এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।

হাইকোর্ট মামলা বাতিলে রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

ড. ইউনূসের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন জানান, মামলায় কিছু ভুল ছিল। এ ছাড়া ড. ইউনূস ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।

উনার নির্বাহী ক্ষমতা ছিল না। তার পরও উনাকে হয়রানির জন্য মামলাটি করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তিনি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্থগিতাদেশ দেন।
সেই রুলের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করেছেন আদালত।

মন্তব্য
কুমিল্লা

আদালতে সাবেক বার সেক্রেটারির ওপর আইনজীবীদের হামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতে সাবেক বার সেক্রেটারির ওপর আইনজীবীদের হামলা
ছবি : কালের কণ্ঠ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমানের আদালতে হাজিরা দিতে এলে সাবেক বার সেক্রেটারি মো. আবু তাহেরের ওপর হামলার খবর পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান। মো. আবু তাহের কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আরো পড়ুন

ঘুষ লেনদেনের সময় টাকাসহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক

ঘুষ লেনদেনের সময় টাকাসহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক

 

আদালত সূত্র জানায়, প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের ও হিসাবরক্ষক কাজী সুমনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া। অভিযোগ ছিল তারা দুজন মিলে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭২০ টাকা আত্মসাৎ করেন।

ওই মামলায় আবু তাহের হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন।

তিনি মাস্ক পরে এজলাসে যাওয়ার পথে আইনজীবীরা তাকে দেখে ধাওয়া দেন। এ সময় তিনি দৌড়ে এজলাসে ঢুকতে যাওয়ার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারা হয়। এক পর্যায়ে তিনি এজলাসে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে হামলার চেষ্টা করলেও বিচারক চলে আসেন।
পরে আইনজীবীরা এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আরো পড়ুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক ড্রোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক ড্রোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

 

এদিকে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের সময় আবার আইনজীবীরা জড়ো হতে থাকেন। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তাকে মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, ‘তিনি আইনজীবীদের টাকা মেরে খেয়েছেন। আজ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আদালতে। তিনি এখন কারাগারে আছেন।’

কুমিল্লা জেলা পিপি কাইমুল হক রিংকু বলেন, ‘বারের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আইনজীবীরা তাকে পাকড়াও করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাকে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেছেন।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ