<p>পাপ বর্জনের সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই পাপী লোকদের সঙ্গে ওঠাবসা বন্ধ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে পাপী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা না করার জন্য মুমিনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন তুমি দেখবে যে লোকেরা আমার আয়াতে ছিদ্রান্বেষণ করছে, তখন তুমি তাদের থেকে সরে যাও, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় লিপ্ত হয়। যদি শয়তান তোমাকে এটা ভুলিয়ে দেয়, তাহলে স্মরণ হওয়ার পর আর জালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসবে না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৬৮)</p> <p>ইসলাম চায়, মুসলমানরা সব সময় নেককার মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করুক। কেননা মানুষ তার সঙ্গী-সাথির দ্বারা প্রভাবিত হয়। রাসুল (সা.) বলেন, মানুষ তার বন্ধুর ধ্যান-ধারণার অনুসারী হয়ে থাকে। সুতরাং তোমাদের সবার খেয়াল রাখা উচিত সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করছে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)</p> <p>তাই ভালো মানুষের সঙ্গে মেশা এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৯)</p> <p>রাসুল (সা.) বলেন, তুমি মুমিন ছাড়া অন্য কারো সঙ্গী হবে না এবং তোমার খাদ্য যেন পরহেজগার লোকে খায়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩২)</p> <p>বনি ইসরাঈলের ৯৯টি হত্যাকারীর তাওবা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘তুমি যে গ্রামে ছিলে তা একটি মন্দ গ্রাম। সেখান থেকে তুমি বের হয়ে অমুক উত্তম গ্রামের দিকে গমন করো। ওই গ্রামে এমন কিছু লোক আছে, যারা আল্লাহর ইবাদত করে। সুতরাং সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে তুমি তোমার রবের ইবাদত করো। আর তুমি তোমার দেশে ফিরে এসো না। কেননা সেটা মন্দ এলাকা। (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৭০৬৬)</p> <p>সুতরাং পাপ বর্জন করতে চাইলে অবশ্যই পাপীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।</p>