<p>রাস্তা হলো মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য। বড় রাস্তায় তো যানবাহন চলাচল করে। গ্রাম-মহল্লার ছোট রাস্তার মোড়ে অনেক সময় মানুষ দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়। গল্পগুজবে মেতে ওঠে। এতে সাধারণ পথচারীদের অসুবিধা বা কষ্ট হয়। অন্যকে কষ্ট দেওয়া মুমিনের গুণ নয়। যদি রাস্তায় বসতেই হয়, তাহলে রাস্তার হক আদায় করা জরুরি। রাস্তার হক কী কী নিম্নে তা প্রদত্ত হলো—</p> <p>মুসলিম শরিফে এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পথে বৈঠক করা থেকে সাবধান থাকো। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের উপায় নেই। সেখানে আমরা আলাপচারিতায় থাকি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিতান্তই যদি তোমাদের বসতেই হয়, তাহলে তোমরা রাস্তার হক আদায় করবে। তারা প্রশ্ন করলেন, রাস্তার হক কী? তিনি বলেন—</p> <p>১.  দৃষ্টি নিচু রাখা। এতে চোখের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আল্লাহ বলেন, আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। (সুরা : নূর, আয়াত : ৩০)</p> <p>২.  কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা কিংবা কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তায় ফেলে কষ্ট দেওয়া মারাত্মক অপরাধ।</p> <p>৩.  সালামের জবাব দেওয়া। ‎আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলকে আমি বলতে শুনেছি যে এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে সালামের জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৪০)</p> <p>৪. সৎকাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজে বাধা প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে তোমারই সর্বোত্তম উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)</p> <p>মহান আল্লাহ সবাইকে রাস্তার হকগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।</p> <p> </p>