<p>জ্বর একটি প্রসিদ্ধ রোগ। সারা বছর এর প্রকোপ লক্ষণীয়। এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি ক্ষয় করে। জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শারীরিক ও আত্মিক কিছু কাজ করতে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। এগুলো সব মুসলমানের জানা ও আমল করা প্রয়োজন।</p> <p>বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির মাধ্যমে মুমিনদের পাপ মোচন হয়। তাই জ্বর বা অন্য কোনো রোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ না করে ধৈর্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন উম্মে সায়িব কিংবা উম্মুল মুসায়্যিব (রা.)-এর কাছে গিয়ে বলেন, তোমার কী হয়েছে হে উম্মে সায়িব অথবা উম্মুল মুসায়্যিব! কাঁপছ কেন? তিনি বলেন, ভীষণ জ্বর, এতে আল্লাহ বরকত না দিন। তখন তিনি বলেন, তুমি জ্বরকে গালি দিয়ো না। জ্বর আদম সন্তানের গুনাহসমূহ বিদূরিত করে দেয়, যেভাবে (কামারের) হাপর লোহার মরিচা দূর করে দেয়। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৩৬)</p> <p>জ্বরের সময় শরীর অতিরিক্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। পানি দিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতেও জ্বর নিয়ন্ত্রণে পানি ব্যবহারের বিকল্প নেই। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জ্বরের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের তাপ থেকে। তাই পানি দিয়ে তোমরা তাকে ঠাণ্ডা করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৫৫৬৪)</p> <p>ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি জ্বর কমানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জ্বর এবং সব ধরনের বেদনার ক্ষেত্রে এই বলতে শিখেয়েছেন—‘বিসমিল্লাহিল কাবির, আউযু বিল্লাহিল আজীম, মিন শররি কুল্লি ইরকিন না’আরিন, ওয়া মিন শররি হাররিন নার।’ </p> <p>অর্থ : মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই প্রত্যেক উত্তপ্ত শিরার অনিষ্ট থেকে এবং আগুনের উত্তাপের অনিষ্ট থেকে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৭৫)<br />  </p>