কোরআনের বর্ণনায় সন্তানের মাতৃদুগ্ধ পান

মাইমুনা আক্তার
মাইমুনা আক্তার
শেয়ার
কোরআনের বর্ণনায় সন্তানের মাতৃদুগ্ধ পান

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো প্রত্যেক মায়ের কর্তব্য। কারণ মহান আল্লাহ মায়ের দুধে শিশুর বেড়ে ওঠার সব উপাদান দিয়েছেন। যেমন—আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পানি, সহজ পাচ্যকারী উপাদান ইত্যাদি সুষমভাবে থাকে মাতৃদুগ্ধে। ফলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে বেড়ে ওঠে।

পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে। এর ফলে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পায়।

শারীরির সুস্থতার পাশাপাশি শিশুর মানসিক বিকাশেও মায়ের দুধের ভূমিকা অনবদ্য। এ ছাড়া মায়ের সুস্থতা যেমন—স্তন ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে সন্তানকে সঠিকভাবে মায়ের দুধ পান করানোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তাই প্রত্যেক মায়ের উচিত সন্তান জন্মলাভের পর থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাকে নিয়মমাফিক দুধ পান করানো।

অনেকে আবার না জেনে কোরআনের নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও সন্তানকে বুকের দুধ পান করান। অথচ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর নির্দিষ্ট একটি সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মাতাগণ নিজেদের বাচ্চাদেরকে পূর্ণ দুই বছর স্তন্যদান করবে, যদি দুধ খাওয়ার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।


(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৩৩)

তাফসিরবিদরা বলেন, এ আয়াত থেকে বোঝা যায় যে সন্তানকে দুধ পান করানো ওয়াজিব এবং আরো বোঝা গেল যে বিশেষ ওজর ছাড়া স্তন্যদান থেকে বিরত থাকার অবকাশ নেই। (মাআরেফুল কুরআন, তাফসিরে মাযহারি, কুরতুবি, জামিউ আহকামিসসিগার : ১/১২৩)

অনেক মা সন্তানকে তিন-চার বছরও দুধ খাওয়ান। আবার অনেকে আড়াই বছর খাওয়ানো যায় মনে করে এই মেয়াদ পূর্ণ করেন। এটা ভুল। সন্তান অনূর্ধ্ব দুই বছর মায়ের বুকের দুধ খেতে পারবে।

দুই বছরের বেশি বয়সী সন্তানকে দুধ পান করানো নাজায়েজ। দুই বছর দুধ পান করানোর বিষয়টি উল্লিখিত আয়াতে রয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘মায়ের দুধ পানের সময় দুই বছরই।’ (সুনানে দারাকুতনি : ৪/১৭৪)

তাই প্রত্যেক মায়ের দায়িত্ব সন্তানের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে অন্যান্য খাবারে অভ্যস্ত করা, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে মায়ের দুধ দেওয়া বন্ধ করা যায়।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আধুনিক প্রযুক্তি ও কোরআনের ভাষ্য

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
শেয়ার
আধুনিক প্রযুক্তি ও কোরআনের ভাষ্য

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। খুলছে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার। একসময় যেসব বিষয় মানুষের কাছে ছিল কেবল কল্পনা, এখন তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। একসময় মানুষের কাছে যা মনে হতো নিছক রূপকথা, এখন তার অনেকগুলোই মানুষের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।

এভাবে মহান আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর বান্দাদের বিভিন্ন নিদর্শনের সাক্ষী করে তাঁর বড়ত্বের জানান দেন, যা থেকে কেবল জ্ঞানীরাই শিক্ষা গ্রহণ করে।

কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আল্লাহর সাহায্যে সংঘটিত হওয়া নবী-রাসুলদের মুজিজাগুলোও ঠিক এ রকম। মহান আল্লাহ বিভিন্ন সময় তাঁর মনোনীত বান্দাদের সাহায্য করতে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত করেছেন, যা সে যুগের মানুষের কাছে অকল্পনীয় ছিল। যারা ঈমানদার ছিল, এসব ঘটনা তাদের ঈমান আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল, আর যারা ছিল বেঈমান, তারা মহান আল্লাহর এসব কুদরতের নিদর্শনকে জাদুটোনা কিংবা অন্য কোনো তকমা দিয়ে হেয় করার চেষ্টা করেছিল।

আর যেসব তথাকথিত জ্ঞানী পরবর্তী সময়ে এসেছে, তারা তো এসব ঘটনাকে নিছক রূপকথা বৈ কিছুই মনে করত না। অথচ মহান আল্লাহ পৃথিবীব্যাপী প্রযুক্তিগত উত্কর্ষ দান করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন যে এখন একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় যে মহান আল্লাহর বাণীগুলো কতটা নিখুঁত ছিল! কোরআন কত সত্য কিতাব, যা দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবীর শুরু থেকে ঘটে যাওয়া আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনগুলো সম্পর্কে আমাদের জানিয়ে গেছেন। অথচ আমরা জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে কোরআনের সেই বাণীগুলোর মর্মই বুঝতে পারিনি। তারই একটি ক্ষুদ্র উদাহরণ বর্তমান রোবটিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং ও সুপারসনিক ফ্লাইট প্রযুক্তি।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সুলাইমানের জন্য আমি বাতাসকে অনুগত করে দিয়েছিলাম, যা সকালে এক মাসের পথ এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য গলিত তামার প্রস্রবণ প্রবাহিত করিয়েছিলাম। আর কতিপয় জিন তার রবের অনুমতিক্রমে তার সামনে কাজ করত। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ থেকে বিচ্যুত হয়, তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের আজাব আস্বাদন করাব। তারা তৈরি করত সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, সুবিশাল হাউসের মতো বড় পাত্র ও স্থির হাঁড়ি।

হে দাউদ পরিবার, তোমরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমল করে যাও এবং আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ।’ (সুরা : সাবা, আয়াত : ১২-১৩)

পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে মহান আল্লাহ সুলাইমান (আ.)-কে দেওয়া কয়েকটি মুজিজার কথা উল্লেখ করেছেন। যার প্রতিটিই একসময়ের মানুষের কাছে রূপকথার মতো মনে হলেও বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মহান আল্লাহ এটা মানুষের জন্য সম্ভব করে দিয়েছেন। যা কোনো ধরনের দৃশ্যমান মেশিন বা প্রযুক্তি ছাড়া তাঁর নবীর জন্য আরো বহুগুণ উন্নত পদ্ধতিতে সম্ভব করেছিলেন। উল্লিখিত এই আয়াতে বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত কয়েকটি উন্নত প্রযুক্তির ধারণা পাওয়া যায়। নিম্নে সেগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো—

সুপারসনিক ফ্লাইট

এই আয়াতের প্রথমাংশে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আর সুলাইমানের জন্য আমি বাতাসকে অনুগত করে দিয়েছিলাম, যা সকালে এক মাসের পথ এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করত।’ অর্থাৎ সুলাইমান (আ.) খুব দ্রুতগতিতে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সফর করতে পারতেন। বিমান আবিষ্কারের মাধ্যমে সুলাইমান (আ.)-এর এই মুজিজার মাহাত্ম্য মানুষের অনেক আগেই বুঝে এলেও তার নতুন প্রযুক্তি সুপারসনিক ফ্লাইট এখন তা আরো সহজে বুঝতে সাহায্য করছে।

গণমাধ্যমের তথ্যমতে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বিশ্বের দ্রুততম বিমান তৈরি করেছে। সুপারসনিক বিমানের নাম এক্স-৫৯। এ বিমানে আট ঘণ্টার যাত্রায় সময় লাগবে মাত্র দেড় ঘণ্টা। খুব তাড়াতাড়িই নতুন প্রজন্মের এই বিমান বাজারে আসছে বলেই জানিয়েছে নাসা। সাধারণ বিমান বা ফাইটার জেটের গতি তো দূর, সুপারফাস্ট সুপারসনিক বিমান কনকর্ড টারবোজেটের গতিকেও হার মানাবে এটি। এ বিমানে করে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে যাওয়া যাবে নিমেষেই। এই তথ্য আমাদের কিছুটা হলেও অনুমান করতে সাহায্য করে যে সুলাইমান (আ.) কিভাবে সকালে এক মাসের পথ আর সন্ধ্যায় এক মাসের পথ পাড়ি দিতেন।

লিকুইড থ্রিডি মেটাল প্রিন্টিং

আয়াতে উল্লেখ আছে যে মহান আল্লাহ সুলাইমান (আ.)-এর জন্য গলিত তামার ঝরনা প্রবাহিত করেছিলেন, যা দিয়ে তিনি বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তৈরি করতেন। বর্তমান যুগেও তামার ব্যবহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক তার থেকে শুরু করে প্রযুক্তির বহু খাতে ব্যাপকভাবে রয়েছে। তবে বর্তমান যুগে এতে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি যোগ করে একে আরো গতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে এমআইটির গবেষকরা একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে গলিত অ্যালুমিনিয়ামকে সূক্ষ্ম কাচের গুঁড়ার মধ্যে প্রবাহিত করে দ্রুত কঠিন বস্তু তৈরি করা যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বড় আকারের বস্তু, যেমন—টেবিলের পা বা চেয়ারের ফ্রেম, মাত্র কয়েক মিনিটে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে বড় আকারের ধাতব বস্তু দ্রুত তৈরি করে শিল্প খাতে নতুন বিপ্লব ঘটাবে এই প্রযুক্তি। (সূত্র : https://shorturl.at/DdD7k)

এআই রোবট

আয়াতে উল্লেখ আছে যে ‘আর কতিপয় জিন তার রবের অনুমতিক্রমে তার সামনে কাজ করত।’ বর্তমান যুগেও মহান আল্লাহ মানুষের মাথায় এমন বুদ্ধি দিয়েছেন যে মানুষ তাদের অনেক কঠিন কাজ এআই রোবটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও সহজে করিয়ে নিচ্ছে। এআইয়ের কাজকর্ম দেখলে মনে হয় যে তাকে হুকুম করলে সে অনেকটা জিনের মতোই কাজ করছে। গত বছর সিএনএনে ইলন মাস্কের একটি ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান চাকরিগুলোকে ‘ঐচ্ছিক’ করে তুলবে, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রোবটগুলো বেশির ভাগ পরিষেবা প্রদান করবে। (সূত্র : https://shorturl.at/XLn9Q)

অ্যাডভান্স থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি

আয়াতে উল্লেখ আছে যে ‘তারা তৈরি করত সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, সুবিশাল হাউসের মতো বড় পাত্র ও স্থির হাঁড়ি।’ 

বর্তমানে এআই, মেশিন লার্নিং ও অ্যাডভান্স থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির সাহায্যে এ রকম কাজগুলো খুব দ্রুত ও সহজে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিশ্বের কয়েকটি দেশে থ্রিডি প্রিন্টেড মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, যা কয়েক হাজার বছর আগে সুলাইমান (আ.)-এর জিনদের দ্বারা তৈরি স্থাপনার কথা মনে করিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, কারখানাগুলোতে অটোমেটিক মেশিনে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। একসঙ্গে অনেক মানুষের রান্না করার জন্য এখন বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল কুকার আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে একসঙ্গে বহু মানুষের জন্য রান্না করা যায়।

বর্তমান যুগের এই প্রযুক্তিগুলোকে কোরআনের আয়নায় দেখলে মহান আল্লাহর সেই বাণীটি হৃদয়ে উঁকি দেয়, ‘অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?’ (সুরা : আর রহমান, আয়াত : ১৩)

উল্লেখ্য, কোরআনের কোনো তথ্য বিজ্ঞানের আলোকে না বোঝা গেলে বুঝতে হবে, বিজ্ঞান এখনো সে বিষয়ে সঠিক জায়গা পর্যন্ত আসতে পারেনি, তবে কোরআন চির উন্নত ও চির আধুনিক। মুমিন তাঁর রবের সব বাণী কোনো যুক্তি ছাড়াই মেনে নেবে।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর পবিত্র কোরআন বোঝা ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
 

মন্তব্য

রাতে ঘুম না হলে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রাতে ঘুম না হলে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
প্রতীকী ছবি

রাতের ঘুম সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের রাতভর শুয়ে থাকার পরও দুচোখে ঘুম আসে না। রাসুল (সা.) রাতে বিছানায় শোয়ার পর ঘুম না এলে একটি দোয়া পড়তেন। তা হলো- 

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ ، رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ 

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল ওয়াহিদুল কাহহার, রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়ামা বায়নাহুমাল আযিযুল গাফফার।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, প্রবল প্রতাপের অধিকারী। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর প্রতিপালক। তিনি পরাক্রমশলী  ক্ষমাশীল।

হাদিস : আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন নির্ঘুম থাকতেন তখন তিনি এই দোয়া পড়তেন। (নাসায়ি, হাদিস : ১০৭০০)
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
হাদিসের বাণী

কবিরা গুনাহ কি কি

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
কবিরা গুনাহ কি কি
প্রতীকী ছবি

তায়সালা ইবনে মাইয়া (রহ.) বলেছেন, আমি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। এ সময় আমি কিছু পাপকাজ করে ফেলি। আমার মতে তা কবিরা গুনাহ ছিল। আমি বিষয়টি ইবনে উমর (রা.)-কে জানালে তিনি ওই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন।

আমি বললাম, এই এই বিষয় ছিল। তিনি বলেন, এগুলো কবিরা গুনাহ নয়। 

তিনি বলেন, কবিরা গুনাহ ৯টি : (১) আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা। (২) মানুষ হত্যা করা।

(৩) জিহাদ প্রাঙ্গণ থেকে পালানো। (৪) সতী-সাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অপবাদ দেওয়া। (৫) সুদ খাওয়া। (৬) এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা।
(৭) মসজিদে ধর্মদ্রোহী কাজ করা। (৮) ধর্ম নিয়ে উপহাস করা এবং (৯) সন্তানের অসদাচরণ কারণে পিতা-মাতার কান্না। 

ইবনে উমর (রা.) আমাকে বলেন, তুমি কি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি তা চাই। তিনি বলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত? আমি বললাম, আমার মা জীবিত। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! তুমি তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললে এবং তার ভরণপোষণ করলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে যদি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাক।

(আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৬) 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
কোরআনের বাণী

নুহ (আ.)-এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ নির্দেশ

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
নুহ (আ.)-এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ নির্দেশ
প্রতীকী ছবি

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘(নুহ বলেন) হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন। কারণ তারা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। আমি তার কাছে ওহি পাঠালাম, আপনি তাদের সামনে ও আমার নির্দেশনায় নৌকা তৈরি করুন। তারপর আমার আদের আসলে এবং আগুন উথলে উঠলে আপনি সব প্রাণীর এক জোড়া করে নেবেন এবং আপনার পরিবারকে।

তবে তাদের ছাড়া যাদের ব্যাপারে আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর আপনি তাদের ব্যাপারে কিছু বলবেন না যারা জুলুম করেছে। তারা তো নিমজ্জিত।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ২৬-২৭)
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ