<p>নির্বাচন আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতে সরকার আবার নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।</p> <p>দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।</p> <p>মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরনো মামলাগুলো আবার রিভাইভ করা হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই- নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে আবারও বিনা ভোটে, কারচুপি করে ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা।</p> <p>ফখরুল বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খুন-হত্যা-মিথ্যা মামলা, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিথ্যা মামলায় নাম ভুক্ত নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।</p> <p>সরকারের জুলুম নির্যাতন বিভিন্ন কৌশলে সম্প্রতি বেড়েই চলেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি এক ভয়ংকর চক্রান্তমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক খায়রুল কবির খোকন ও শিরিন সুলতানাসহ নরসিংদীর ৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চক্রান্তমূলকভাবে খোকনের নরসিংদীর বাসভবন ও বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে।</p> <p>বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, বিএনপি জেলা কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা বিষয়ে স্থানীয় থানায় তাৎক্ষণিক অভিযোগ দেওয়া হলেও জিডি এজহার করতে গেলে কিছুই পুলিশ গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একজন বিএনপির কার্যালয় অগ্নিসংযোগ ও বোমা মারার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিলেও পুলিশ ওই সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি।</p> <p>মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল চট্টগ্রামে তারুণ্যে সমাবেশ ছিল। সেখানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুবদল-ছাত্রদলের ছেলেরা যখন সেই সমাবেশে আসছিল, পথিমধ্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ছেলেরা তাদের আক্রমণ করে। আক্রমণ করলে তারা প্রতিহত করে একত্রিত হয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশ শেষে যখন তারা ফিরে যাচ্ছিল আবারও তাদের ওপর আক্রমণ করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের প্রটেকশন দিয়ে চলে যেতে দেয়।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, নরসিংদী জেলার সদস্য সচিব মনজুর এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p>