<p>নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে পিটিয়ে জখম করেছেন দলীয় কর্মীরা। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।</p> <p>শুক্রবার বিকেলে বন্দরে পূর্বনির্ধারিত বিএনপির কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় ৪০-৫০ জন যুবক হামলা করেন। এতে অনেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও টিপুকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন তারা। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন মাসুদ রানা ও মুন্না। তাদের মধ্যে মুন্না রক্তাক্ত হয়েছেন।</p> <p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, টিপুর ওপর হামলার সময় নূর হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা জানান, ‘বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের অনুসারীরা আমাদের গতিরোধ করেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণ করেন তারা। এতে আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুবদল নেতা মুন্না গুরুতর আহত হন। হত্যার উদ্দেশ্যে এ আক্রমণ হয়েছে।’ </p> <p>মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘মুকুল, আশা, মোস্তাক, সৌরভ, রাজীবসহ ১৫০-২০০ লোক এই হামলা করেছে। দল ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল না। এই ১৫ বছর ধরে তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দালালি করেছে। এখন দালালি করতে পারে না। তাই তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোক নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমাদের সদস্যসচিব মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন।’</p> <p>আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। তাদের বিষফোঁড়া আমি। আমি ছাড়া কেউ নেই কথা বলার মতো। তারা আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে। আমি মারামারির মানুষ না। মারামারি করতে জানি না। আমার সেই বয়সও নেই। যাদের কাছে দোষ করেছে তারাই মারধর করেছে। আমার লোকজন এসবের সঙ্গে জড়িত না।’</p> <p>বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিভাবে, কী ঘটেছে তা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>