<p>নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগের অপরাধী যারা, তাদের বিচার করা দরকার। আওয়ামী লীগ যদি পুনর্গঠিত না হয়, তাহলে তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।</p> <p>আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ কথা বলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) এ সম্পাদক। </p> <p>ড. বদিউল আলম বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্ভব। তবে আওয়ামী লীগের অপরাধী যারা, তাদের বিচার করা দরকার। আওয়ামী লীগ যদি পুনর্গঠিত না হয়, তাহলে তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।</p> <p>সংবিধানের সংস্কার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে সংসদ দরকার। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেয়া নয়। সংবিধান বাতিল করে, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব।<br />  <br /> নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের মতো কাজ করেছে। একটা নির্বাচন আয়োজন করা দরকার, তাই করেছে তারা। সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তারা। আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে তারা। </p> <p>তিনি আরো বলেন, এটি কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল একটি রুটিন সরকার, তিন মাসের সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি নয়। তাদের চারদিকে জঞ্জাল। <br />  <br /> অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সঠিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং তারা যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সুপারিশ করব।<br />  </p>