<p>জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আল্লাহ মানুষকে এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন কেবল আল্লাহর গোলামি করার জন্য। তাই যত দিন আল্লাহর গোলামি প্রতিষ্ঠা হবে না, তত দিন বৈষম্য চলবে। চলতেই থাকবে। আমাদের শিক্ষা নিতে হবে বৈষম্যহীন সমাজ মানেই কুরআন-সুন্নাহর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। যত দিন কুরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত না হবে, তত দিন পর্যন্ত বৈষম্য চলতেই থাকবে।’</p> <p>সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী নগরীর এক কনভেনশন সেন্টারে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।</p> <p>প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালে। কিন্তু এর পর থেকে যতবার যারা ক্ষমতায় এসেছে কেউ বৈষম্য দূর করেনি। তারা (আওয়ামী লীগ) বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেরাই এমন বৈষম্য তৈরি করল যে নিজের দলের নেতাদের ছাড়া কাউকে চাকরি দেয় না। এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কিছু হতে পারে না। পুলিশের চাকরি করবে সেখানে মাদরাসার ছাত্রদের চাকরি দেবে না। বিরোধী দলের লোক হলে চাকরি দেবে না। পুলিশ, আর্মি অথবা বিজিবি- প্রত্যেকটা জায়গায় তারা বৈষম্য তৈরি করেছে।’</p> <p>ইউনূস সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা সংস্কারকাজ শুরু করেছেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু সংস্কার করবেন কয়জন। গোটা স্টাফ যদি পচে যায়, এগুলাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দিলে কি সমাজ ঠিক হবে? পচা লোক যেখানে দেবেন সেখানেই পচাবেন তিনি। অতএব এটা দিয়ে সমাজ পরিবর্তন হবে না। বৈষম্যহীন সমাজ হবে না। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আল্লাহর ভয় যাদের আছে তাদের এখানে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে নতুন পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে। নতুনভাবে নিয়োগ করতে হবে। তা ছাড়া সমাজ পরিবর্তন হতে পারে না।</p> <p>সেমিনারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আবদুল লতিফ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী।</p>