<p style="text-align:justify">জোঁকের মতো ঝুট ব্যবসা কামড়ে ধরেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল। এলাকার কোন কারখানা থেকে কত টাকা আসবে, সেটি নিজেই নির্ধারণ করে দিতেন। অবৈধ এসব টাকা নিজ হাতে ভাগ করে অন্য রকম মজা পেতেন। কালিয়াকৈর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাবেক এই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ১৯৭৩ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ১৫ বছর। এরপর পৌরসভার মেয়র ও পরে ২০০৮ সালে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে এমপি হন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় থিতু ছিলেন তিনি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রুপরেখা কী হবে সেটা জানালেন ইমরুল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729837561-e20740a9b44df1dace12c9a9e42caa88.jpeg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রুপরেখা কী হবে সেটা জানালেন ইমরুল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/10/25/1438998" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">কালিয়াকৈর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকার কোন কারখানা থেকে কত টাকা আসবে, সেটি নিজেই নির্ধারণ করে দিতেন। মন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি মাসে একটি কারখানা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠত। এই টাকার কিছু অংশ দলের তৃণমূল পর্যায়, অর্থাৎ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও পৌর শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হতো। এই টাকা পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের ছিল। টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করে দিতের মন্ত্রী নিজেই।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছাত্রলীগের পদ পেয়েই কোটিপতি বনে যান তারা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729822321-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছাত্রলীগের পদ পেয়েই কোটিপতি বনে যান তারা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/25/1438938" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ঝুটের টাকা তুলে মন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেওয়া ‘ঝুট আলামিন’ বলেন, ২০২২ সাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে মন্ত্রীর হাতে কখনও ১০ লাখ, কখনও ১৫ লাখ করে টাকা দিয়েছেন তিনি। মোজাম্মেল হক নিয়মিত মাসোহারা তুলতেন এমন কারখানার সংখ্যা শুধু কালিয়াকৈরেই শতাধিক বলেও জানান তিনি। </p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ আছে, ২০১২ সালে খাল খননের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, ওই দুই প্রকল্পের এক টাকার কাজও করেননি মোজাম্মেল। এমনকি প্রকল্পে কাজ করা হলো না কেন তা জানতে চাইলে তার চক্ষুশূল হতে হয় তৎকালীন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নান শরীফকে। এর কয়েকদিন পর তাকে পদ থেকে সরে যেতে বলেন মোজাম্মেল হক। এক পর্যায়ে এসপি হারুন ফোন করে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন। কেন পদত্যাগ করব– জানতে চাইলে এসপি হারুন খারাপ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে দেন প্রাণনাশের হুমকি। পরে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয় তাঁকে। </p> <p style="text-align:justify">সরকার পতনের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে আছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসব অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। </p>