<p style="text-align:justify">বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পারলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সব কাজ বৈধ’, মেয়াদ অনির্দ্দিষ্ট রেখে অধ্যাদেশ জারির প্রচেষ্টা চলানো হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, বরং নিন্দনীয়। আমরা সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে চাই।</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেছেন, কোনো বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়াকে আমরা সমর্থন করি না। দায়মুক্তির ঘটনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য হলো পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথকে মসৃণ করা। এই কাজটিকে প্রাধান্য দিয়ে অন্তবর্তী সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ধরনের কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করার আগে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নেওয়ার এবং দায়মুক্তি আইন প্রণয়নের পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১০ তারিখের সমাবেশে যোগ দিতে এসে আ. লীগ নেতা আটক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731157347-88251dcfdda65e66b671d1f6fd54e29f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১০ তারিখের সমাবেশে যোগ দিতে এসে আ. লীগ নেতা আটক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/09/1444643" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বিবৃতিতে শিল্পকলা একাডেমিতে তথাকথিত ‘মব’-এর কাছে নতি স্বীকার করে নাটক বন্ধ করে দেওয়া ও নাট্যজনদের প্রতিবাদ সভায় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত এবং শাস্তির দাবি জানিয়ে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা বন্ধ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এসবের বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">বিদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সাথে অশোভন আচরণের ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও, এমনকি কোর্ট কাচারিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া এবং সুযোগ বুঝে কাউকে কাউকে হেনস্থা করা করা হচ্ছে। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ঘটনা চলমান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে ব্যাহত করবে। পতিত স্বৈরাচার, দেশী-বিদেশী নানা অপশক্তিকে অপতৎপরতার সুযোগ করে দেবে।</p> <p style="text-align:justify">বিবৃতিতে দেশের সর্বত্র শ্রমজীবীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত, নির্যাতন বন্ধ এবং ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের সব ধরনের নিরাপত্তায় যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এছাড়া জনস্বার্থ রক্ষায় যে কোনো অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর অবস্থান নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।<br />  </p>