<p>বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে জাতির জন্য কঠিন এক নির্বাচন। এই নির্বাচন হবে দেশের সবচেয়ে কঠিন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ দুর্বল মনে হতে পারে। তার মানে এই নয়, বিএনপি ক্ষমতায় চলে গেছে বা ক্ষমতায় যাচ্ছে। যেকোনো মূল্যে জনগণের সমর্থন আমাদের পক্ষে রাখতে হবে। ২০ বছর জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আবার তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। তাই এই নির্বাচন করে কঠিন থেকে কঠিনতর। দলকে জনগণের কাছে আস্থাশীল করতে প্রতিটি নেতাকর্মীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গত ৩-৪ মাসে যদি আমাদের কেউ ভুল করে, তাকে সতর্ক করতে হবে।’</p> <p>সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে কর্মশালার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান।</p> <p>জনগণের সঙ্গে থাকার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। সেই আস্থা ধরে রাখতে হবে। ঘরে ঘরে দলের ৩১ দফা পৌঁছে দিতে হবে। এই ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এতে গণতান্ত্রিক অনেক রাজনৈতিক দলের মতামত রয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। তাই জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনোভাবেই ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়।’</p> <p>তারেক রহমান আরো বলেন, ‘গত কয়েক মাস অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কথা বলছে। অথচ বিএনপি আরো দুই বছর আগে সংস্কারের জন্য প্রথমে ২৭ দফা ও পরে ৩১ দফা তুলে ধরেছে। এখনকার প্রস্তাবনার সব কিছুই এই ৩১ দফায় রয়েছে। এতে মনে হয়, বিএনপি গণমানুষের দল। সব সময়েই মানুষের কথা বলছে। তাই এই প্রস্তাবনাগুলো চার দেয়ালের মধ্যে রাখলে চলবে না। দেশের প্রতিটি মানুষ, পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে ‘</p> <p>বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড প্রবর্তনের ব্যবস্থা করবে বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ফ্যামিলি কার্ডে দেশের প্রতিটি কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা করা হবে। নারীর ক্ষমতায়নকে লক্ষ রেখে এই কার্ড হবে নারীদের নামে। তিনি যাতে এই ভর্তুকির মাধ্যমে নিজের সন্তানের স্বাস্থ্য ও সঞ্চয়ে ভূমিকা রাখতে পারেন। </p> <p>এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা বিভাগীয় কর্মশালা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামিমুর রহমান শামীম। প্রশিক্ষক ছিলেন মওদুদ আলমগীর পাভেল। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।</p>