<p>ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, গত ৫৩ বছর যারা দেশকে শাসন করেছে তাদের কেউই জনগণকে চোর ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দিতে পারেনি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এরা সবাই মুদ্রার এপিট-ওপিট। ৫ আগস্টের আগে যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ছিল, ৫ আগস্টের পর সেই দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। ঘুষ ও দুর্নীতির পরিবর্তন হয়িন, শুধু লোকের পরিবর্তন হয়েছে।</p> <p>শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজী বাজার এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কালমা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p>আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন, কুরআন ও হাদিসের আইন বাস্তবায়নসহ দেশ থেকে চাঁদাবাজ ও ধর্ষকদের তাড়ানোর জন্য ইসলামকে ক্ষমতায় বসানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার চাঁদাবাজদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আবার তাদেরকেই আন্দোলন করে সরিয়েছে। আর কত দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় বসাবেন আর কতবার সরানোর জন্য আন্দোলন করবেন।</p> <p>মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ইসলামের বাইরে মুসলমানদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। যদি কেউ ধর্ষণ, মদের পক্ষে থাকে তার ঈমান থাকবে না। তাই মুসলমানদের আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ-বাসদ করার সুযোগ নেই। কিন্তু যারা হিন্দু, বৈদ্য ও খ্রিষ্টান ইসলামী দল করবে শান্তির জন্য। তবে মনে রাখতে হবে, ইসলামের নামে ধোঁকাবাজি চলবে না। ইসলামের নামে যারা পোশাকের স্বাধীনতা, নামাজকে ধ্বংস এবং ইসলাম অনুযায়ী চলতে চায় না এরকম ধোঁকাবাজ ইসলাম দিয়ে ইসলাম হবে না।</p> <p>তিনি বলেন, 'যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের পক্ষে থাকি তাহলে আগামীর বাংলাদেশে এমন এক সূর্য উদিত হবে যেখানে বৈষম্য, জুলুম, অত্যাচার ও অবিচার থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। যেখানে সব শ্রেণির মানুষের অধিকার থাকবে। ইসলাম ব্যতীত বারবার দল ও নেতা পরিবর্তন করবেন, কিন্তু দুর্নীতি পরিবর্তন করতে পারবেন না।</p> <p>ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কালমা ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ লোকমানের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভোলা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ আলাউদ্দিন তালুকদার, চট্টগ্রাম মহানগরের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহা. মোসলেহ উদ্দিন, লালমোহন উপজেলার সভাপতি মাওলানা মুহা. রাশেদুল ইসলাম, সহসভাপতি মাওলানা মুহা. জামাল উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলন লালমোহন উপজেলা সভাপতি মাওলানা মুহা. মূসা কালিমুল্লাহ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন লালমোহন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহা. কবির হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন লালমোহন উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ রাজিব হোসেন।</p> <p>গণসমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন কালমা ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা মুহা. মুসলিম শরীফ, সহসভাপতি মাওলানা মুহা. মোবাশ্বির, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কালমা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা মুহা. ছিদ্দিকুল্লাহ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কালমা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা মুহা. ফিরোজ আহমাদ ফাহিম প্রমুখ।</p>