এ বছরেই নির্বাচন সম্ভব, ৬ মাস দেরিতেও সমস্যা নেই : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এ বছরেই নির্বাচন সম্ভব, ৬ মাস দেরিতেও সমস্যা নেই : মান্না
ছবি : ফোকাস বাংলা

এই বছরের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেছেন, ‘১৫টি সংস্কার কমিশন কাজ করছে। তারা রিপোর্ট দেবে, সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এমনটি নয়। নির্বাচন পদ্ধতি, সংবিধানসহ প্রধান কয়েকটি সংস্কারের বিষয়ে একতম হতে পারলে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি।

আর সেটা এই বছরের মধ্যেই যাওয়া সম্ভব। কিন্তু ৬ মাস দেরিতে হলেও বড় কোনো সমস্যা নয়।’

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘নির্বাচনব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমানের সভাপতিত্বে মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ‘ভালো নির্বাচনের জন্য আমাদের সংস্কার প্রয়োজন।

যত দূর পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য করতে পারব, তত দূর সংস্কার করতে হবে। বাকি যেগুলো ব্যাপার আছে আগামীতে যে সংসদ গঠিত হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে সেই নির্বাচিত সরকার করবে। সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে নিতে হবে। ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী কাঠামোর সংস্কার জরুরি।

নির্বাচনের জন্য কেউ কেউ অস্থির হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, আগামী ডিসেম্বেরের মধ্যে নির্বাচন হবে। আর সংস্কারের কারণে তা ৬ মাস দেরিও হতে পারে। ফলে ৬ মাস আগে ক্ষমতা না পেলে আমার খুব ক্ষতি হয়ে যাবে, সেটা ঠিক না। আর নির্বাচন হলেই ক্ষমতা যে পাবই তার নিশ্চয়তা কী?’

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হলে ক্ষমতা পাবেন তারা দেরি করতে পারছেন না। কিন্তু অভ্যুত্থান না হলে তো ৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো এবং কষ্টে থাকতেন।

তাই অপেক্ষা করে দেখেন, এই সময়ের মধ্যে দেশটা কতটা পরিবর্তন করা যায়।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের আশাহত হলে চলবে না সুদিনের আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। প্রত্যেককে নিজের জায়গায় ছাড় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এখন লড়াই জ্ঞানের, লড়াই বুদ্ধির। রাজনীতিবিদদের অতীত দেখেছে বলেই মানুষ রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা রাখতে আস্থা হারাচ্ছে।’

কবি মনির ইউসুফের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান (বীরপ্রতীক), আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. দেওয়ান সাজ্জাদ, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, গণমুক্তি সভার কো-চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিজবুল্লাহ প্রমুখ।

সংলাপে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচনীব্যবস্থায় আমূল সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই সংস্কার কার্যক্রম কার্যকর জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে লুটেরা মাফিয়ারা কখনো নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব আসনে আসতে না পারে। সংস্কারে লুটেরা ও মাফিয়াদের পরিহার ও জনগণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতে হবে। জনজীবনের সংকট মোকাবেলায় উদ্যোগ নিতে হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক : ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক : ইসলামী আন্দোলন

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে একগুচ্ছ মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে ভারতকে খুশি করার অপচেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তীতে রাজনৈতিক কিছু হানাহানি হলেও তাতে যে সাম্প্রদায়িক কোনো ইস্যু ছিল না তা সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত সত্য।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এসব কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, তুলসি গ্যাবার্ড সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার জ্ঞানের অপ্রতুলতার বহিঃপ্রকাশ করলেন।

দায়িত্বে নতুন হওয়ায় তথ্যের অভাবের কারণেও এটা হতে পারে, অথবা তার ভারতকে তুষ্ট করার প্রয়াসও হতে পারে। সভ্যতায় বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ইসলাম এই ভূখণ্ডে হাজার বছর ধরে মানুষের আনন্দ ও মুক্তির প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ইসলাম এখানে শান্তি ও সম্প্রতির উৎস।
পশ্চিমরা যে অর্থে ‘মৌলবাদ’-কে সংজ্ঞায়িত করে সেই অর্থে মৌলবাদ বাংলা অঞ্চলে কোনো কালেই ছিল না। ফলে মিস গ্যাবার্ড যা বলেছেন, তা ইতিহাস সম্পর্কে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। সমস্যা তৈরি হয় যখন কেউ বাংলাদেশের ওপরে প্রভুত্ব করতে চায় তখন।

কারণ আমাদের রক্তে অন্যের প্রভুত্ব করার বিষয়টা নেই। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান অবনতির কারণ ভারতের শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। এখানে আমাদের তরফে কিছু করার নেই।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সাম্প্রতিক গাজায় যে অপরাধ করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে তার দায় ইতিহাসের কাছে শোধ করতে হবে।

তার পরও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক চাই। তবে অবশ্যই তা হতে হবে সত্য, সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে।’

মন্তব্য

দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টার’ পদত্যাগ দাবি গণ অধিকার পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টার’ পদত্যাগ দাবি গণ অধিকার পরিষদের
ছবি : কালের কণ্ঠ

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টা’ মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণ অধিকার পরিষদ। তারা পদত্যাগ না করলে গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন দলটির নেতারা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

আরো পড়ুন
মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একতরফাভাবে সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু সরকার সবার সঙ্গে ইনসাফ না করে বরং গণ-অভ্যুত্থানের একটি গোষ্ঠী বা পক্ষের সরকার হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছে। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩ জন ছাত্র উপদেষ্টা ছিলেন, তাদের একজন পদত্যাগ করে একটি দলের প্রধান হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে বাকিরাও সরকারে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেনে।
আর দল গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কি পদত্যাগকৃত উপদেষ্টা সম্পৃক্ত ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন। আর ৩ জন ছাত্র উপদেষ্টার একই নেক্সাস। সুতরাং আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বাকি ২ জন ছাত্র উপদেষ্টারও পদত্যাগ দাবি করছি।
এ ছাড়া ছাত্ররা যেহেতু দল গঠন করেছে। এ ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়কের কোনো অস্তিত্ব বিদ্যমান নেই বলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে সরকারের সবে সেক্টর ও দপ্তর থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা অতীব জরুরি।’

আরো পড়ুন
আইনজীবী হতে চান আঁখি আলমগীর!

আইনজীবী হতে চান আঁখি আলমগীর!

 

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসায় আউটসোর্সিং নিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে। এটা স্থায়ী নিয়োগের প্রাথমিক ধাপ।

২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যম প্রকাশিত হয়, প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ আউটসোর্সিং কর্মী ঢাকা ওয়াসায় বিভিন্ন বিভাগ ও পদে কর্মরত আছেন। ওয়াসা তাদের চাকরির সুরক্ষায় বয়স শিথিল করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে।
এ ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ হলেও পরবর্তীতে স্থায়ী করার সুযোগ আছে। সুতরাং এই নিয়োগ অনৈতিক নিয়োগ। এই নিয়োগের তদন্তসহ সরকারের সকল দপ্তরে নিয়োগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি করছি।’

রাশেদ খান বলেন,‘ আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার আগে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন জরুরি। যেহেতু এই উপদেষ্টা পরিষদে বিতর্কিত ব্যক্তিরা রয়েছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া জরুরি। গণ অধিকার পরিষদ গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও রোডম্যাপ দাবি করছে। আমরা মনে করি, প্রধান উপদেষ্টার গতকালের বক্তব্য অনুযায়ী ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি। এ জন্য দরকার জাতীয় ঐকমত্য। কিন্তু উপদেষ্টাদের বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ বলে দিল্লিতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। আমরা এই বক্তব্যোর তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে কোনো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নেই, সংখ্যালঘুদের ওপরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং ইতোপূর্বে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আছিয়ার শোকে ভারসাম্যহীন বাবার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আছিয়ার শোকে ভারসাম্যহীন বাবার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়া তার বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আছিয়ার বাবা ফেরদৌস পেশায় একজন কৃষক ও ভ্যানচালক। আদরের ছোট্ট আছিয়ার মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারেননি তার বাবা। ফলে মানসিক আঘাতে অনেকটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।

বিষয়টি নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি তৎক্ষণাৎ বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলামকে তার চিকিৎসা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন নিজ দায়িত্বে আছিয়ার বাবাকে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করেন।

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম নিজ তত্ত্বাবধানে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ আছিয়া নিজ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৮ মার্চ তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ মার্চ দুপুরে আছিয়া মারা যায়।

মন্তব্য

উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ মঙ্গলবার গণঅধিকার পরিষদের জরুরি জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ইসলামি শক্তিকে সহ্য করতে পারছেন না। আলেম-ওলামা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেছেন।

মাহফুজ আলম জাতীয় ঐক্য সংহতি পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন। তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, এরকম বিতর্কিত ব্যক্তি কোনভাবেই সরকারের উপদেষ্টা পদে বহাল থাকতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

রাশেদ খান বলেন, তথ্য উপদেষ্টাকে সরকারের মূখপাত্র হিসেবে কাজ করে।

তবে তিনি (উপদেষ্টা মাহফুজ আলম) কখনও হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব বক্তব্যরে কারণে অনৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন পরিষদের এই নেতা।

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষেদর এই নেতা। প্রয়োজনে নতুন নিরপেক্ষ সরকার সগঠন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরেক ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসাবে চেয়ারে রয়েছেন জনাব আসিফ মহম্মদ সজীব ভুঁইয়া এবং জনাব মাহফুজ আলম। তাদেরকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ