ডেভিলদের স্থান কারাগারে, বাইরে নয় : শাকিল উজ্জামান

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
ডেভিলদের স্থান কারাগারে, বাইরে নয় : শাকিল উজ্জামান
ছবি: কালের কণ্ঠ

গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেছেন, ৬ মাসের মধ্যেও সরকার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের খুনিদের আটক করতে পারেনি। তারা এখনো বিভিন্ন জায়গায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্য দিয়ে অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ডেভিলদের স্থান কারাগারে, বাইরে নয়।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারে গণ অধিকার পরিষদের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। যারা এ দেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালায়, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল।

তাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে আয়নাঘরে বছরের পর বছর নির্যাতন করতো। শেখ হাসিনার নির্যাতনের কাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে।

নবগঠিত ঘাটাইল উপজেলা শাখা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি রিপন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের টাঙ্গাইল জেলার শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিমুর রহমান সাগর, সহ-সভাপতি রুবেল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা সরকার, ঘাটাইল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হৃদয় খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি : মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি : মুরাদ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেছেন, বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য্য, সাহসিকতা ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ও যাদবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পৃথক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বাইশাকান্দকার ইফতার হয় সহান রুগুনাথ বাজার মাঠে।

যাদবপুরের ইফতার মাহফিল হয় বিএম স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে। 

ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। গত ১৬ বছর দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।

স্বৈরাচারের পতনের পর মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সরকারকে নির্বাচন দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। 

আরো পড়ুন
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে : তারেক রহমান

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে : তারেক রহমান

 

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে দেশ ও মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।

 

মুরাদ বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করতে হবে। ব্যবসায় বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যুব সমাজকে সাবলম্বী করে তাদের অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

বাইশাকান্দার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি লাবিব উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন লোকমান দেওয়ান, খন্দকার আইয়ুব, ইবাদুল হক জাহিদ, আবুল হোসেন, রাকিব হোসেন, মিজানুর রহমান, আমির হামজা, ইমরান হোসেন প্রমুখ। যাদবপুর ইউনিয়ন ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আলতাফ হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন আলী আকবর, ইশতিয়াক আহম্মেদ ফারুক, শহিদুল ইসলাম সুজন, ফরহাদ হোসেন রিমন, জসিম মোল্লা, কামরুজ্জামান লিটন, সিদ্দিক হোসেন মিন্টু প্রমুখ।

মন্তব্য

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে দেশ ইমেজ সংকটে পড়বে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা এবং চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী এবং পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি দেশে ফের গণতন্ত্রের কবর রচনা করবে।

অন্যদিকে গণতান্ত্রিক বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নামে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য করে অকারণ সময়ক্ষেপণের চেষ্টা হলে সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণে দেশের শুধু শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি এ সব কিছু ধ্বংস হয়নি, বরং বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘৃণার বিষবাষ্প, বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।

‘একটি রাষ্ট্র ও সমাজের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ যদি বিনষ্ট করে দেওয়া যায়, তখনই সমাজব্যবস্থা অবক্ষয়, ভঙ্গুর, নিষ্ঠুর ও অমানবিক হয়ে ওঠে। ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা উগ্রবাদ আর চরমপন্থা বিকাশের এক উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়,’ বলেন তিনি।

দেশে হঠাৎ করেই অতীতের মতো নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মন্তব্য করে তারেক বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের নিরাপত্তাহীন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সরকার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি কিংবা অন্য কোনো কাজে হয়তো বেশি মনোযোগী থাকার কারণে, আমাদের নারীরা নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে কি না, এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন আছে।

‘শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই মাফিয়া সরকারের পতন ঘটেনি—এ কথা যেমন সত্য। তার চেয়েও আরো চরম সত্য হয়তো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না করার জন্যই কিন্তু মাফিয়া সরকারের নির্মম পতন হয়েছিল। সুতরাং একটি নির্বাচনকে শুধু কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়ার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করার অবকাশ নেই,’ বলেন তারেক রহমান।

মন্তব্য

বৃহস্পতিবার নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৃহস্পতিবার নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
প্রতীকী ছবি

‘জনতার দল’ নামে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দল আগামীকাল বৃহস্পতিবার আত্মপ্রকাশ করবে। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। 

আজ বুধবার (১৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নতুন দলটির মুখপাত্র ডেল এইচ খান।

তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যমপন্থী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছি।

আমাদের দলে সামরিক (অব.) বেসামরিক, ব্যাংকার, আইনজীবী ও সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে দলটি গঠন করা হবে।’

আরো পড়ুন
বাংলাদেশে এনসিপি ও আ. লীগ একসঙ্গে থাকতে পারে না : হাসনাত

বাংলাদেশে এনসিপি ও আ. লীগ একসঙ্গে থাকতে পারে না : হাসনাত

 

জানা যায়, নতুন দলটির চেয়ারম্যান হবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল।

বৃহস্পতিবার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের ১ নং হলে বিকেল ৩টায় দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হবে। 

এতে ২৪ বিপ্লবের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়াও ছাত্র প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাংলাদেশে এনসিপি ও আ. লীগ একসঙ্গে থাকতে পারে না : হাসনাত

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বাংলাদেশে এনসিপি ও আ. লীগ একসঙ্গে থাকতে পারে না : হাসনাত
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যে আওয়ামী লীগকে ছাত্র-নাগরিক রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছে, আজ সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

বুধবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লার শাসনগাছায় ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ২৪-এর শহীদ ও আহত গাজীদের স্মরণে গণইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসনাত বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ফায়দা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন। বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

আমরা আপনাদের সতর্ক করে বলতে চাই, এই ছাত্র নাগরিকের হারানোর কিছুই নেই। এক খাপে দুই তলোয়ার যেভাবে থাকতে পারে না, ঠিক একইভাবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি একসঙ্গে থাকতে পারে না।’

আরো পড়ুন
পৌর কর্মচারীকে বিএনপি নেতার মারধর, অতঃপর...

পৌর কর্মচারীকে বিএনপি নেতার মারধর, অতঃপর...

 

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগস্ট গণভবন এবং বঙ্গভবনের যে পরিণতি হয়েছি তাদের পরিণতিও সে রকম হবে।’ 

হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, ‘গত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।

ভোট দিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন। একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন করার কোনো দক্ষতা আওয়ামী প্রশাসনের ছিল না। এই প্রশাসন সংস্কার না করা পর্যন্ত, আমরা যতক্ষণ না নিশ্চিত হই এই প্রশাসন একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন করতে পারে ততক্ষণ আশ্বস্ত হচ্ছি না। এ জন্য আমরা চাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই প্রশাসনের স্বচ্ছতার পরীক্ষা আগে হোক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিন। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে যতগুলো উপজেলা রয়েছে সেগুলো ৫-৬টি ধাপে নির্বাচন দিয়ে এই প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন।’

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদের সভাপতিত্বে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, “আওয়ামী জাহিলিয়াতের যুগে আন্দোলনের সময় আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছিল, ‘আংকেল গেটটা একটু খোলেন’ ‘আংকেল গেটটা একটু খোলেন না’ আমরা ভুলে যাইনি। তখন গেটটা কেউ খোলেনি। আমরা এই আওয়ামী লীগকে এই কুমিল্লা থেকে উৎপাত করেছি।

হাসিনার দুঃস্বপ্ন ছিল এই কুমিল্লা। এই কুমিল্লাতে আওয়ামী লীগকে কবরস্থ করতে পেরেছি।” 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গত দেড় দশক এই কুমিল্লাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। যখন কুমিল্লা নিয়ে কোনো কথা হতো এই ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকার কুমিল্লাকে উপহাস করেছে। আগামীতে কুমিল্লাতে যতগুলো আসন রয়েছে এনসিপির নেতৃত্বে শক্ত অবস্থান আমরা গড়ে তুলব।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার দখল, পুকুর দখল এগুলো এলাকায় শুরু হয়ে গেছে, যারা দখলবাজ তারা তাদের হাত গুঁড়িয়ে দিয়ে তাদের পুলিশে তুলে দেন। দেবীদ্বার ও কুমিল্লার মাটিতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না। কেউ যদি চাঁদা তুলতে আসে বলবেন চাঁদার টাকা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দিয়ে আসছি। তার থেকে চাঁদার টাকা নিয়ে আসুন।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ