খুলনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় নেতার নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলের নেতারা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান।
খুলনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও দলের ৬ জন নেতার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাপার তথাকথিত দুই নেতা।
ভিত্তিহীন এই মামলা দুটির বিষয়ে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একজন মহানায়ক। বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই সংগ্রামের এক আপসহীন চরিত্র নুরুল হক নুর। তৎকালীন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা যেমন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বিগত সময়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করতেন, ঠিক একই কায়দায় বর্তমান সময়েও তথাকথিত কিছু ছাত্রনেতা মামলাবাজি শুরু করেছেন।
গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার জালিমতন্ত্রকে উৎখাত করেছে। সুতরাং বিপ্লব পরবর্তী এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মডেল অনুসরণ করে কেউ যদি মামলাবাজি শুরু করে, আমরা গণঅধিকার পরিষদ তা বরদাস্ত করব না।
আমরা গণঅধিকার পরিষদ, ভিপি নুরুল হক নুরসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে দেওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা অতি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা খুলনা সদর থানার (ওসি) মো. মাসুমকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।
ওসি মাসুম সাহেব কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই কিভাবে এমন ভিত্তিহীন মামলা গ্রহণ করলেন।
২০০০ ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে আমরা আর কোনো মামলাবাজি দেখতে চাই না।