প্রতিবন্ধীদের অবলম্বন গড়ে দিচ্ছেন দৃষ্টিহীন নূরজাহান

রাশেদুল তুষার, চট্টগ্রাম
রাশেদুল তুষার, চট্টগ্রাম
শেয়ার
প্রতিবন্ধীদের অবলম্বন গড়ে দিচ্ছেন দৃষ্টিহীন নূরজাহান

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া নূরজাহান বেগম চট্টগ্রাম বারের সদস্য হিসেবে দেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী আইনজীবী। তবে নিজেকে আইন পেশায় সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং নিজে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় অন্য প্রতিবন্ধীদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে আত্মনিয়োগ করেছেন, হয়েছেন উদ্যোক্তা।

নিজ ইচ্ছাশক্তিতে অন্ধকার জয় করে হয়েছেন আলোর যাত্রী।

ডিস-এবল পিপলস অর্গানাইজেশন (ডিপিও) নামের এনজিওর মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের হাতে-কলমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। এই এনজিওর এরই মধ্যে ৩৫০ জন সদস্য রয়েছে। মোবাইল অপারেটর রবির স্পন্সরে ২০ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর স্মার্টফোন প্রশিক্ষণ, লায়ন্স ক্লাব অব খুলশীর সহযোগিতায় তিন মাসব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্লক-ভাটিক, সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সদস্যদের।

এ ছাড়া নতুন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে কিভাবে খাপ খাওয়াবে সে ব্যাপারেও প্রতিবন্ধীদের কাউন্সেলিং করা হয় ডিপিওর মাধ্যমে। প্রতিবন্ধীরা পরিবার ও সমাজের বোঝা হবে না এ লক্ষ্যেই কাজ করছে ডিস-এবল পিপলস অর্গানাইজেশন।

শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি নূরজাহান বেগম। ‘নকশী বাংলা’ নামের নিজের একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের তৈরি হস্তশিল্প বিক্রির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন তিনি।

থ্রিপিস, টু-পস, নকশিকাঁথা, বেডশিটসহ হাতের কাজের কাপড় কিনে নিজের শোরুমে বিক্রি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেন। বর্তমানে ডিপিওর প্রায় দেড় শ সদস্য নিজেদের তৈরি পোশাক সরবরাহ করছেন নকশী বাংলায়। তাঁদের অনেকেই নকশী বাংলার মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

২০১৩ সালে মাত্র সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে নকশী বাংলার কার্যক্রম শুরু করেন নূরজাহান। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন ও বোনের স্বামী।

গত আট বছরে নকশী বাংলার বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকায়। স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১৮ সালে। সিটি ব্যাংক এনএ ১৪তম নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করেছে নূরজাহান বেগমকে।

প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ করে ‘উৎস’ নামের একটি এনজিওতে চাকরি শুরু করেন নূরজাহান বেগম। তখন দেখেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চাকরি পাওয়া কত কষ্টকর। শুধু প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও একটি সামান্য চাকরির জন্য ধরনা দিতে হয় দ্বারে দ্বারে। সেখানেই চম্পা নামের একজন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে আলাপ হয়, যিনি কিছু করার তাগাদা অনুভব করতেন। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কিছুই করতে পারছিলেন না। নূরজাহান নিজের বোনের কাছে চম্পাকে পাঠালেন নকশির কাজ শিখতে। পরে চম্পাকে অর্ডার দিয়ে নিজেই কিছু কাজ করালেন। এভাবে মনে হলো, অন্য শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে। নিজের ভেতর একজন উদ্যোক্তার অস্তিত্বও খুঁজে পেলেন নূরজাহান। বিভিন্ন ক্লিনিক ও পরিচিতজনদের মধ্যে বিক্রি করতে থাকেন প্রতিবন্ধীদের তৈরি সদ্যোজাত বাচ্চাদের নিমা ও হাতের তৈরি পোশাক।

তিনি শুনেছেন প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা করে। কিন্তু কোনো ব্যাংকেই সেই সহায়তা পাচ্ছিলেন না। পরে ব্যাংক এশিয়ার একজন কর্মকর্তার সহায়তায় আড়াই লাখ টাকা ঋণ সহায়তা পান নূরজাহান। সেই টাকায় নগরীর আকবর শাহ এলাকায় নকশী বাংলার নিজস্ব শোরুম চালু করলেন। চেষ্টা করেছেন নিয়মিত ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধের। কিন্তু করোনার হানায় কিছুটা বিপর্যস্ত নকশী বাংলা। স্বাভাবিক অর্ডার কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক থেকে কিস্তি পরিশোধে তেমন চাপ দেয়নি, তার পরেও নিজেই পুড়ছেন বিবেকের তাড়নায়।

চট্টগ্রাম মহিলা চেম্বার অব কমার্সের এই সদস্য কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই বললেন, ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকার এসএমই খাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা স্বল্পসুদে ঋণের সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তারা সেটা পাইনি। অথচ আমাদের বিষয়টা বিশেষ বিবেচনায় রাখা দরকার ছিল।’

মন্তব্য

পাটব্যাগ সহজলভ্য করতে চায় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পাটব্যাগ সহজলভ্য করতে চায় সরকার
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ফাইল ছবি

বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘পাট ব্যাগকে সহজলভ্য ও কমমূল্যে বাজারে আনতে চাই। এর সুবিধা হলো এ ব্যাগ পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ উপযোগী।’

তিনি বলেন, ‘এটার বিপণন সহজ করতে আপনারা ভূমিকা রাখুন। এ ব্যাগ কিভাবে বেশি বিপণন করা যায়, কী সাইজ তা আপনাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছি; যাতে আপনার পরামর্শ কাজে লাগাতে পারি।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজনে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিতে ঢাকা মহানগরস্থ বিভিন্ন বাজারের সভাপতি ও সম্পাদকদের নিয়ে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরো বলেন, ‘আমি চাই পাটব্যাগ আপনারাই উৎপাদন করুন। আপনারাই ব্যবসায়ী হন। পাটের ব্যাগ প্রচলনের বিষয়টি আমরা বাস্তবায়ন করছি।

সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে। পাটব্যাগ বাজারে সহজলভ্য করতে উদ্যোগী সরকার।’

মতবিনিময়কালে বাজারের প্রতিনিধিরা পাটব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি কম দামে ব্যাগের চাহিদার কথা জানান। একইসঙ্গে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন রোধে মত দেন তারা।

এ সময় উত্তরা-বাড্ডা কাঁচাবাজারের সভাপতি হাজী আব্দুল হালিম বলেন, ‘বিভিন্ন সাইজের ব্যাগের সাপ্লাই (সরবরাহ) দিতে হবে। এজন্য ডিলার রাখলে তা (পাটব্যাগ) পাওয়া সহজ হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটব্যাগ প্রচলন করতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে আমরা উপদেষ্টার নির্দেশে কাজ করছি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের মহাপরিচালক জিনাত আরা, টিসিবির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ প্রমুখ।

মন্তব্য

ভারত থেকে এলো ২২ হাজার টন চাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত থেকে এলো ২২ হাজার টন চাল

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

 

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম চালানের ১৭ হাজার ৮০০ টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে চাল খালাসের কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য

সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়ল
সংগৃহীত ছবি

দেশের বাজারে বেড়েছে সোনার দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম দুই হাজার ৬১৩ টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (১৭ মার্চ) থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

আরো পড়ুন
নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে জরিমানা

নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে জরিমানা

 

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে এক লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৫ হাজার ৫৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মার্চের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স ১৬৫ কোটি ডলার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্চের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স ১৬৫ কোটি ডলার

মার্চের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। রবিবার (১৬ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি চার লাখ ছয় হাজার ৬৬৬ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ঈদে পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের জন্য প্রবাসীরা রমজানে অর্থ পাঠানো বাড়িয়ে দেন।

আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন ধারা দেখা গেছে। এবারো বাড়তি অর্থ পাঠানো অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন এসেছিল ছয় কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ডলার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গড়ে প্রতিদিন আসে ৯ কোটি দুই লাখ ৭২ হাজার ৮৫৭ ডলার।

 

এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৫ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ডলার।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ