<p>ভারতের আদানি গ্রুপকে নিয়ে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনের পর এক মাস পার হয়েছে। এই এক মাসে গৌতম আদানির সম্পদ কমেছে ৮০.৬ বিলিয়ন ডলার বা ৬৬.৯ শতাংশ। আর আদানি গ্রুপের ১০টি কম্পানির সম্মিলিত বাজার মূলধন কমেছে ১৪৬ বিলিয়ন ডলার।</p> <p>গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজ’ আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজি, অর্থপাচার ও আর্থিক জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। এর পর থেকে আদানি গ্রুপের শেয়ারদর কমছেই। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় আদানির সাজানো সাম্রাজ্যে।</p> <p>ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে, গতকাল পর্যন্ত গৌতম আদানির সম্পদ কমে হয়েছে ৩৫.৩ বিলিয়ন ডলার। তিনি এখন বিশ্বের ৩৩তম ধনী। গত এক মাসে আদানি তার কম্পানির প্রতি আস্থা ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>আদানি গ্রুপের ১০ সংস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আদানি গ্রিন এনার্জির। শেয়ারের বাজারমূল্য কমে গেছে ৮৪ শতাংশ। দরপতনের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার। দরপতন যথাক্রমে ৮৩ ও ৮১ শতাংশ। গোষ্ঠীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত সংস্থা বলে পরিচিত আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের মূল্য কমেছে ৬৭ শতাংশ। এ সংস্থার ছাড়া ২০ হাজার কোটি রুপির ‘এফপিও’ পুরো বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও ‘গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে’ আদানি গ্রুপ তা বাতিল করে দেয়।</p> <p>গৌতম আদানি ঘোষণা করেছিলেন, আস্থা যাতে না হারায় সে জন্য গ্রাহকদের সবার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বাজারের আস্থা অর্জনে গত এক মাসে এই গ্রুপ চেষ্টায় ত্রুটি রাখেনি। কিন্তু দরপতন তাঁর সাম্রাজ্যে ধস নামিয়েই চলেছে।</p>