<p>‘জেটিআই গ্লোবাল ওয়াশ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘জেটিআই বাংলাদেশ’ শহরের ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকাগুলোতে পাবলিক স্যানিটেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। স্যানিটেশন সেন্টারগুলো তৈরি ও পরিচালনা করবে ‘ভূমিজো’। জেটিআই-এর এই উদ্যোগটি জনগোষ্ঠীর মাঝে কল্যাণমূলক কাজে বিনিয়োগ কর্মসূচি ‘স্বচ্ছ’ -এর একটি অংশ যা, দেশের শহুরে ও গ্রামীণ অঞ্চলের নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ‘ওয়াশ’ (পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা প্রাপ্তি) নিশ্চিতে কাজ করে।</p> <p>সম্প্রতি মিরপুর ১ নম্বরে মসজিদুল আকবর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ‘স্বচ্ছ’ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-এর (ডিএনসিসি) চিফ টাউন প্ল্যানার মাকসুদ হাসেম; ভূমিজো’র সিইও ও কো-ফাউন্ডার ফারহানা রশিদ; জেটিআই বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পল হলওয়েসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।</p> <p>এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসি’র চিফ টাউন প্ল্যানার মাকসুদ হাসেম বলেন, ‘একাধিক বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যখন সম্মিলিতভাবে কোনো জনসেবামূলক উদ্যোগে অংশ নেয় তা সিটি কর্পোরেশন জন্য আনন্দের। আমরা এই উদ্যোগটি পরিচালনা এবং অব্যাহত রাখতে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত।’</p> <p>ভূমিজ লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিও মো. মাসুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ (২১ মিলিয়ন) মানুষের বাস, তবে সেই তুলনায় পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা এক শ’রও কম। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নারীরা এর শিকার হচ্ছেন। সেটি বিবেচনায় আমরা দেশব্যাপী পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট স্থাপনের কাজ করছি। এই উদ্যোগে ভূমিজো’র পাশে থাকায় জেটিআই বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মিরপুরের এই সেন্টারটি উদ্বোধন কেবলমাত্র শুরু, এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’</p> <p>জেটিআই বাংলাদেশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন শেহজামি খলিল বলেন, ‘এমন একটি উদ্যোগে ভূমিজো-এর সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। ২০১৮ সালে উল্লেখযোগ্য এফডিআই-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই জেটিআই বিভিন্ন জগোষ্ঠীতে কল্যাণমূলক বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই সেন্টারের মাধ্যমে মিরপুর ১-এর বাসিন্দারা বাড়ির বাইরেও যথাযথভাবে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’</p> <p>ভূমিজো লিমিটেড ২০১৭ সালে রাজধানীর গাউসিয়া মার্কেটে দেশের প্রথম ও একমাত্র নারীদের পাবলিক টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। শহরের সুবিধাবঞ্চিত বা নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য নির্বিঘ্ন স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির প্রধান লক্ষ্য। বর্তমানে দৈনিক ৬ হাজার মানুষকে ৩০ ধরনের সেবা-সুবিধা প্রদান করছে ভূমিজো, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫টি সেবায় জেটিআই বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে। </p> <p>২০১৮ সালে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিমিয়ে আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসার মালিকানা কিনে নেয় জেটি গ্রুপ, যা দেশের বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম এফডিআই। জেটিআই বাংলাদেশ দেশের অন্যতম বৃহত্তম করদাতা এবং তামাক চাষে প্রায় ১৫ হাজার নিবন্ধিত কৃষক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন হচ্ছে, অন্যদিকে রপ্তানি খাত সমৃদ্ধ হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে জেটিআই ফাউন্ডেশন এবং জেটিআই গ্লোবাল ‘ওয়াশ’ প্রকল্প দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার মানুষকে ত্রাণ সুবিধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। করোনা মহামারিতেও তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।</p>