<p>বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) আজ সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।</p> <p>ফিকির সভাপতি জাভেদ আক্তার বেশ কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরেন যা সংগঠনটি বিশ্বাস করে যে বিভিন্ন শিল্প এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।</p> <p>জাভেদ আক্তার আরো জোর দিয়েছিলেন যে টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ এবং ওয়াটার পিউরিফায়ারের ওপর বর্ধিত শুল্ক এই শিল্পগুলোর ওপর একটি বড় বোঝা চাপিয়ে দেবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যে এই ধরনের পদক্ষেপ বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।’</p> <p>এ ছাড়াও ফিকি আর্থিক খাতের সংস্কারের ওপর বাজেটের ফোকাস না করার সমালোচনা করে। একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক আর্থিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p>এফআইসিসিআই আরো উল্লেখ করেছে যে, কর ব্যবস্থাকে সরল করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, উচ্চ কার্যকরী করের হার (ইটিআর) ব্যবসার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ রয়ে গেছে। সমালোচনার আরেকটি ক্ষেত্র ছিল সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে করের ক্ষেত্রে বৈষম্য, এফআইসিসিআই বেসরকারি তহবিলের জন্য ১৫ শতাংশ  আয়কর হার বজায় রেখে সরকারি পরিষেবা কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া বৈষম্যমূলক। সংস্থাটি প্রাইভেট ইকোনমিক জোন (ইজেড) এবং হাই-টেক পার্ক থেকে প্রণোদনা অপসারণের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত আয়কর হারের প্রস্তাবিত বৃদ্ধিকে করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।</p> <p>ফিকির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ফিকি সম্ভাব্য করের হার বজায় রেখে এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতির মাধ্যমে করদাতা সম্প্রসারণসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করেছে। সামগ্রিকভাবে, ফিকি মনে করে প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসয় এবং বিনিয়োগ বান্ধব নয়  প্রস্তাবিত বাজেট।</p> <p>বৈঠকে অন্যদের মধ্যে এফআইসিসিআই উপদেষ্টা রূপালী চৌধুরী, রুবাবা দৌলাসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।</p>