<p style="text-align:justify">নিত্যপণ্যের বাজার স্বস্তি দিচ্ছে না ভোক্তাদের। বেশির ভাগ পণ্যে উচ্চমূল্য গুনতে হচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে একটির দাম কিছুটা কমলেও অন্যটির বেড়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই থামছে না ভোক্তার ভোগান্তি। ফের চড়া হচ্ছে পেঁয়াজের দাম। পণ্যটির দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ে শুল্কসহ নানা সুবিধা দিয়েছে সরকার। এতে কিছুদিন দাম স্থিতিশীল থাকলেও এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730168932-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/10/29/1440336" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় কৃষকের ঘরে এখন মজুদ পেঁয়াজ নেই। এতে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। অন্যদিকে ভারতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। মূলত এসব কারণেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।</p> <p style="text-align:justify"><img alt="পেঁয়াজের ঝাঁজে ভোক্তা নাকাল" height="240" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730144709-df6696652edde7c4e5c99c25405e9532.jpg" style="float:left" width="400" />গতকাল সোমবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকায় এবং ভারতের পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730168582-5ac0ae7eb672fec879ef902ee426f679.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/29/1440335" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং রাজধানীর শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাজেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকট রয়েছে। যার কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বাড়তি। আগামী দুই মাস পর বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসবে, তখন দাম কমতে শুরু হবে।’</p> <p style="text-align:justify">সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২৭ শতাংশ বেড়ে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশি রসুন কেজিতে ১২ শতাংশ এবং আমদানি করা রসুন ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পেঁয়াজসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো হলেও এর প্রভাব বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে না। উল্টো এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সরকার তার রাজস্বনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনলেও এর সুবিধা ভোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। ভোক্তারা উপকৃত হচ্ছে না। তাই বাজারকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে এই শুল্কের প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে।’</p> <p style="text-align:justify">বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ রপ্তানিতে বেঁধে দেওয়া শুল্কও প্রত্যাহার করেছে ভারত এবং কমানো হয়েছে রপ্তানি শুল্কও। রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে দেশটি। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমাদানি করছেন আমদানিকারকরা। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসার কথা ছিল, কিন্তু উল্টো বাড়ছে দাম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আজ ২৯ অক্টোবর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730168268-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আজ ২৯ অক্টোবর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/29/1440334" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এদিকে বর্তমানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২২ থেকে ২৭ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজ শুল্ক ছাড়েই আমদানি হচ্ছে। হিলির বাজারে মানভেদে ভারতীয় ইন্দর জাতের পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যান্য জায়গার তুলনায় হিলি স্থলবন্দরে কিছুটা হলেও পেঁয়াজের দাম কম। আগে যেখানে আট থেকে ১০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হতো। এখন প্রতিদিন ২২ থেকে ২৭ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।</p>