<p style="text-align:justify">দীর্ঘদিন ধরে আর্থিকভাবে ভুগছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। কমবেশি প্রায় ৫০ কোটি ডলার সব সময়ই বকেয়া থাকত রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটির। এর মধ্যে ২৫ কোটি ডলার বকেয়াকে স্বাভাবিক ধরে নিয়েই লেনদেন করত বিপিসি। তবে গত তিনমাসে ৫৭৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে এখন ঋণ শূন্য এই প্রতিষ্ঠান। </p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, কৌশলগত কিছু পরিবর্তন এনে অসম্ভব এই কৃর্তি করেছে বিপিসি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আমিন আল আহসান কালের কণ্ঠকে জানান, ৭ নভেম্বর থেকে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিপিসির কোনো ঋণ নেই। আর এলসি খোলায় সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করায় সেটা সম্ভব হয়েছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মার্কিন নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫ প্রার্থীর রেকর্ড জয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/08/1731053216-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মার্কিন নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫ প্রার্থীর রেকর্ড জয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/08/1444233" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি জানান, গত তিন মাস ধরে এলসি করতে ব্র্যাক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, দ্য সিটি ও ইসলামী ব্যাংকের সাথে কাজ করেছে বিপিসি। ফলে নতুন করে বৈদেশিক ঋণ তৈরি হয়নি। অন্যদিকে এই সময়ে সোনালীসহ সরকারি ব্যাংকগুলো আগে খোলা এলসির বকেয়া বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করেছে।</p> <p style="text-align:justify">চার মাসে ৪২ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের বিষয়ে আমিন উল আহসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড নিয়মের চেয়ে আমাদের জিটুজি পদ্ধতিতে প্রিমিয়াম প্রাইস এক থেকে দুই ডলার বেশি ছিল। আমরা নেগোসিয়েশন করে মাত্র চার মাসে প্রায় ৪২ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছি। আগামী বছর নেগোসিয়েশন করে জিটুজিতে প্রিমিয়াম প্রাইস আরো কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ম্যাথিউ পেরির বাড়ি কিনলেন ভারতীয় প্রযোজক, দিলেন পূজা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/08/1731052671-10d75184ffa7872ca717e7e4cabb0540.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ম্যাথিউ পেরির বাড়ি কিনলেন ভারতীয় প্রযোজক, দিলেন পূজা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/11/08/1444228" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, বিপিসির একটি এলসির মূল্য সাধারণত প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার। প্রতিমাসে ১৭ থেকে ১৮টি এলসি খোলা হয় – যার মোট পরিমাণ ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের চাহিদা শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব ছিল না। এর ফলে প্রতি মাসেই বকেয়া হয়ে যেত যার প্রভাব পড়ত সরবরাহকারীদের সাথে দরকষাকষিতে।  </p> <p style="text-align:justify">দেশে জ্বালানি তেলের একমাত্র আমদানিকারক হিসেবে বিপিসি বিদেশি মুদ্রায় জ্বালানি ক্রয় করে এবং স্থানীয় মুদ্রায় বিক্রি করে। একমাত্র বাংলাদেশ বিমানের কাছে পাওনা ছাড়া জ্বালানি তেল বিক্রির কোনো টাকা বকেয়া থাকে না। ব্যাংকগুলোকে স্থানীয় মুদ্রা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় তেল আমদানির এলসি খোলে সংস্থাটি।</p>