<p>আমাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সাফল্যের সূর্য উদয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এবং আমাদের অর্জন খুব একটা খারাপ নয়। আমরা একটি পায়ের ছাপ রেখে যাব।</p> <p>মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।</p> <p>অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি পায়ের ছাপ রেখে যাব। আমরা এমন জায়গাগুলো দিয়ে হাটবে যেখানে রাস্তা তৈরির দিক নির্দেশ করবে। আমরা কিছু সংস্কার করে যাব। পরবর্তীতে যারা আসবেন তারা বুঝবেন যে এখান থেকে রাস্তা তৈরি করতে হবে। একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, আমাদের সাফল্যের সূর্য উদয় হয়েছে। আমরা যে একেবারে করেছি তা নয়। আমাদের অর্জন খুব একটা খারাপ না।</p> <p>তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ইতিপূর্বে এমন আশ্বাস বা সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পায়নি। সুতরাং এটা সরকারের অন্যতম একটি সফলতা।</p> <p>উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই আলু ও পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে। তবে এসবের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায় অর্থ ঋণ আদালতকে আরো সক্রিয় করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে হাইকোর্টে হওয়া রিট মামলার পড়ার পদক্ষেপ দ্রুত নিষ্পত্তি করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। </p> <p>অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হাইকোর্টের রিট মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য দুইটি বেঞ্চ রয়েছে। এ বিষয়ে এটুনি জেনারেল ও গভর্নরের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। যাতে এই বেঞ্চগুলো আগামী তিন মাস শুধু রিট মামলাগুলো পরিচালনা করে। </p> <p>কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না উল্লেখ করে ডক্টর সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক হয়তো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে, ব্যাংক খাতের যেসব খারাপ সিনড্রোম ছিল সেগুলো কারেকশন হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠছে। কোনো ব্যাংক বন্ধ করার ইচ্ছা সরকারের নেই। এটা আমরা সকলকে আশ্বস্ত করছি। আমানতকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হবে, ব্যাংক খাতে হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। </p> <p>ভালো ব্যবসায়ীদের ভীত হওয়ার কোন কারণ নাই যা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যারা ঋণ নিয়ে ঠিকমতো ফেরত দেন এবং ঠিকমতো কর দেন, তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারাই ভীতু হয়ে আছে যারা বিগত সরকারের সময়ে নানাভাবে অনেক কিছু করেছে। </p> <p>আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক এ প্রসঙ্গে যোগ করে আরো বলেন, যেসব দুর্বল ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তারা যাতে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারে সেজন্য খুব দ্রুত উদ্যোগ দেখা যাবে।</p> <p>অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ সচিব ড. মুহাম্মদ খাইরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা আইএমএফের তিন বছর মেয়াদি ঋণ কর্মসূচিতে রয়েছি। এর বাইরে ও অতিরিক্ত সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, চলতি অর্থ বছরের মধ্যে আমরা আইএমএফ থেকে এক বিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছি। আগামী ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ টিম বাংলাদেশে আসছে। তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবির ৬০০ মিলিয়ন ডলার ও বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে।<br />  </p>