<p style="text-align:justify">অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা শকের মধ্যে ছিল, সেই শকটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। অর্থনীতির লাইনচ্যুত ট্রেনটাকে আমরা লাইনে তুলতে পেরেছি।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশটা শুধু লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল তা নয়, অন্যদিকেও চলে গিয়েছিল। আমাদের দায়িত্বটা বাংলাদেশকে লাইনে তোলা। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ক্ষেত্রে বিরাট একটা সমস্যা ছিল। এখন সেটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।’</p> <p style="text-align:justify">দৈনিক প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্বালানি উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, ‘আগের সরকার অনেক বেশি টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েছে। একদিকে পণ্যের পরিমাণ কম, অন্যদিকে বাজারে অনেক বেশি টাকা। ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা এসে টাকা ছাপানোটা বন্ধ করেছি। এটা সরকারের আরেকটি বড় অর্জন।’</p> <p style="text-align:justify">উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনা সরকার বিরাট একটা দেনার বোঝা দেশের ঘাড়ে রেখে গেছে। জ্বালানি তেল, এলএনজি, দেশ ও বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিশাল দেনা। এই দেনাটা ডলারেও আছে, টাকাতেও আছে। ধীরে ধীরে আমরা এই দেনা পরিশোধ করছি। দেনা যখন অনেক বেশি বকেয়া হয়ে যায়, তখন যারা সেবা প্রদান করেন, তারা তো অস্থির হয়ে যান। আমরা সেই দেনাগুলো ধীরে ধীরে পরিশোধ করছি। অনেক ক্ষেত্রে আমরা সফলও হয়েছি। যেমন বিপিসির দেনা আমরা পুরোপুরি শোধ করেছি।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘ডলারের দেনাটাও আমরা অনেকখানি কমিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন ডলারে দেনা ছিল প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার। এখন সেটা কমিয়ে দেড় বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নিয়ে এসেছি। আমাদের সব দেনা শেষ পর্যন্ত টাকার দেনা। কারণ, ডলারও কিন্তু টাকা দিয়ে কিনতে হয়। ফলে দেনা মেটাতে হলে প্রথমে টাকার সংস্থান করতে হবে, ডলারের সংস্থান করতে হবে। এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর ফলে সেখান থেকে ডলার পাওয়া যাচ্ছে। রিজার্ভ ভেঙে ডলারের জোগান দিতে হচ্ছে না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের অনেক অপচয় বন্ধ হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে আমরা দেনা পরিশোধ করছি।’</p> <p style="text-align:justify">ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো রেলের স্টেশনের সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বলা হয়েছিল, চালু করতে ৩৫০ কোটি টাকা লাগবে, এক বছর সময় লাগবে। কিন্তু আমরা সেটা ২ মাস ১৭ দিনে চালু করেছি। আমাদের খরচ হয়েছে এক কোটি টাকার কিছু বেশি। এটা কীভাবে করলাম? আমরা একজন অস্ট্রেলিয়ান-বাংলাদেশিকে খুঁজে বের করলাম, যিনি দুবাইয়ে, ভারতে মেট্রোতে কাজ করেছেন। আমরা তার সহযোগিতা নিয়ে কাজটা করেছি। আমরা সরকারকে মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। আপনারা জেনে বিস্মিত হবেন যে রেলের উন্নয়নের জন্য আমরা এখন রাজউক মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির একজন ছাত্রের সহযোগিতা নিচ্ছি।’</p>