<p>দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভরশীলতার হার বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জাতীয় সংসদ কর্তৃক ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এ আইনের আওতায় গঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সর্বজনীন পেনশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731595092-ae566253288191ce5d879e51dae1d8c3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p><strong>সর্বজনীন পেনশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর</strong></p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/14/1446654" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে ১৮ (আঠারো) বছর তদূর্ধ্ব বয়স থেকে ৫০ (পঞ্চাশ) বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।</p> <p>তবে শর্ত থাকে যে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ (পঞ্চাশ) বছরের ঊর্ধ্ব বয়সের নাগরিকরাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং সেই ক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ (দশ) বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।<br /> প্রত্যেক চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ (পঁচাত্তর) বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়ের (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ (পঁচাত্তর) বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্ত হবেন।</p> <p>চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ (দশ) বছর চাঁদা প্রদান করার আগেমৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়ে কর রেয়াতের আওতায় বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে।</p> <p>সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে চারটি স্কিম রাখা হয়েছে। এগুলো হলো যথাক্রমে- প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা ও সমতা স্কিম।</p> <p><strong>প্রগতি স্কিমের বৈশিষ্ট্য</strong></p> <p>বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারী বা সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করে, তাহলে কর্মচারীদের জন্য চাঁদার ৫০% প্রতিষ্ঠান এবং বাকি ৫০% কর্মচারী প্রদান করবে। তব কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ না করলেও, সেখানে কর্মরত কোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।</p> <p style="text-align:center"><img alt="কালের কণ্ঠ" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/22/my163/03.jpg" width="1000" /></p> <p>সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের ভবিষ্যৎ আরো সুসংগঠিত ও আর্থিকভাবে সুরক্ষিত হবে।</p> <p><br />  </p>