<p style="text-align:justify">দ্বীপ জেলা ভোলার কূপ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজিতে (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) রূপান্তর করে এনে এবার জাতীয় গ্রিডে বা বিদ্যুৎকেন্দ্রে দিতে চায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেড। আগের চেয়ে কিছুটা কম দামেই জাতীয় গ্রিডে দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্ট্রাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিয়াদ আলী।</p> <p style="text-align:justify">আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির এমডি। দেশের গ্যাস সংকট নিরসনে এবং শিল্প-কারখানার উৎপাদন ঠিক রাখতে ভোলার কূপ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করে ঢাকার বিভিন্ন শিল্পে সরবরাহ করছে ইন্ট্রাকো।</p> <p style="text-align:justify">পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্ট্রকো কম্পানি ভোলার গ্যাস সিএনজি করে আনতে ২০২৩ সালের মে মাসে সুন্দরবন গ্যাস কম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করে।</p> <p style="text-align:justify">চুক্তি সূত্রে জানা যায়, ইন্ট্রাকো সরকারের কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ১৭ টাকায় কিনে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করছে। প্রথম ধাপে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রূপান্তর করে তা ঢাকায় সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় ধাপে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে বা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরাসরি সরবরাহের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইন্ট্রাকো। মূলত গ্যাসকে চাপের মাধ্যমে তরলে পরিণত করে তা ট্যাংকে জমানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় গ্যাসকে তরলীকরণ করে তা পরিবহন করা হবে।  </p> <p style="text-align:justify">ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেডের এমডি রিয়াদ আলী বলেন, ‘এতোদিন আমাদের ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রূপান্তর করে পরিবহনে শিল্পে সরবরাহের সক্ষমতা ছিল। এখন আরো ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রূপান্তর করে সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এই গ্যাস সরাসরি জাতীয় গ্রিডে বা বিদ্যুৎকেন্দ্রে দিতে পারলে খরচ আরো কমে আসবে। ভোলা থেকে গ্যাস এনে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি টাকার গ্যাস বিক্রি করা হয়েছে। যদিও প্রথম পর্যায়েই বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ২০ মিলিয়ন ঘনফুটের প্রসেসপ্লান্ট তৈরিতে বিনিয়োগ হচ্ছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। এই প্লান্টের কার্যক্রম আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে।’</p> <p style="text-align:justify">রিয়াদ আলী বলেন, ‘সরকার যেভাবে চায় সেইভাবেই আমরা কাজ করতে চাই। টেন্ডার দিলে সেখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা কাজ করতে চাই। ইন্ট্রাকো জাতীয় স্বার্থে কাজ করে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইন্ট্রাকো আশা করে এই প্রকল্প দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’  </p>