<p>বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত আবু সাঈদের মা-বাবার হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল।</p> <p>এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেক দিন আমাদের সাথে দেখা করতে আসে। সে সময় ভিসি আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেন। আমাদের খোঁজখবর নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাব না। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারব শেষ সময়ে।' </p> <p>প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এ ছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানান তিনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৬ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/26/1721987117-2819e292b44e171ab17f0cd0ccdf12c9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৬ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/07/26/1408924" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে সাঈদের মা-বাবার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।’</p> <p>গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এর পর থেকেই নতুন মাত্রা পায় কোটাবিরোধী আন্দোলন। সন্ধ্যার পরপরই দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নিহত আবু সাঈদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাসিবুর রশীদ।</p>