<p style="text-align:justify">সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুস সামাদের অপসারণের দাবিতে দশম দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল রয়েছে অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে চার থেকে পাঁচ শ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এ সময় দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। </p> <p style="text-align:justify">বিক্ষুব্ধরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণা না থাকা এই কর্মকর্তা বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ কারণে তাকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।<br />  <br /> এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন এবং মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভায় মহাপরিচালক তার নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে গোপনে সব আয়োজন শেষ করেন। এ ছাড়া সভায় তিনি তার পছন্দের মাত্র ৬ জন ব্যক্তিকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন, যাদের সবার কাছ থেকেই সভার দিন সকালে বক্তব্যের স্ক্রিপ্ট জমা নেন।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সুপারিশে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিন মাস হতে চললেও তিনি ছয়-সাত বছর ধরে একই শাখায় কাজ করা এবং বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগীদের এখনো বদলি করেননি। সব বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও পদলোভী কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি তার মহাপরিচালক পদ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।</p> <p style="text-align:justify">নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুর রেজ্জাক সিদ্দিকী বলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অপসারণ না হলে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর হতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ মাঠ পর্যায়ের সব দপ্তরে মহাপরিচালকের অপসারণরে দাবিতে ব্যানার টানানো, ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হবে।</p>