<p style="text-align:justify">ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের (ইবি) ১৪তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক। </p> <p style="text-align:justify">প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে। উপাচার্যের পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।</p> <p style="text-align:justify">অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন হিসেবে নিযুক্ত আছেন। ইতোপূর্বে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।</p> <p style="text-align:justify">অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এ ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে এমফিল ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আইন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। </p> <p style="text-align:justify">নিয়োগপ্রাপ্তির পর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আমি নিয়োগপত্র পেয়েছি। খুব দ্রুতই যোগদান করব।’ </p> <p style="text-align:justify">প্রসঙ্গত, গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দপ্তর স্থবির হয়ে পড়ে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের নেতৃত্বে আবারও সব কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।</p>