<p>জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে অভিন্ন প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত এবং সব পোষ্য কোটা বাতিল কিংবা পুনর্বিবেচনাসহ ৩৬ দফা জানিয়েছে ‘জাহাঙ্গীরনগর সংস্থার আন্দোলনের’ শিক্ষার্থীরা। </p> <p>বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্সকক্ষে  এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানান।<br />  <br /> অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় জাকসু, হল সংসদ এবং বিভাগীয় সংসদ কার্যকর করা, ছাত্ররাজনীতি প্রশ্নে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি ‘রিসার্চ টিম’ গঠন করে যৌক্তিক সমাধানে আনা, শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে অভিন্ন প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত ও অভিন্ন মেধাতালিকা প্রণয়ন এবং সব পোষ্য কোটা বাতিল কিংবা পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া জনকল্যাণমুখী গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো, শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ক্লাস শুরু এবং যথাসময়ে শেষ করতে হবে, পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিতে হবে, একজন শিক্ষক ফুলকোর্স ও হাফকোর্সে কতটি ক্লাস নেবেন তা পূর্বনির্ধারিত হতে হবে। পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখগুলো ক্যালেন্ডারে উল্লেখ থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার সাপেক্ষে ক্যাম্পাসে ফ্রি ইন্টারনেট চালু করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে গবেষণা ও অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলেও জানানো হয়। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন ও সার্বিক মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও মানোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংস্কার বিনির্মাণ আশু জরুরি বলে আমরা মনে করি। গণবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাবির নতুন প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠন ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন তুলে ধরছে তার ঐতিহাসিক ৩৬ দফা দাবি।’</p>