<p>দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কারে গঠিত কমিটিতে ইসলামপন্থী শিক্ষাবিদদের রাখার দাবি জানিয়েছে সচেতন ‘নাগরিক সমাজ’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ৫ দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।</p> <p>আজ বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মুফতি সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ডা. মেহেদী হাসান, প্রফেসর মুখতার আহমেদ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, লুৎফর রহমান ফরায়েজি, সাইমুম সাদী, রেজাউল করিম আবরার, শরীফ আবু হায়াত অপু প্রমুখ।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, পাঠ্যপুস্তক চূড়ান্ত ও ছাপানোর আগে তা অবশ্যই একদল শিক্ষাবিদের দ্বারা পর্যালোচনা করাতে হবে, যারা ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবেদনশীল যেকোনো বিষয়বস্তু চিহ্নিত করবেন এবং সংশোধন করবেন, প্রয়োজনে বাদ দেবেন। এই টিমে অবশ্যই আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে এমন কোনো ভিনদেশী মতাদর্শ প্রচার করা যাবে না, যা দেশের সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও ঈমানী মূল্যবোধের সাথে বিরোধপূর্ণ। বিশেষ করে এলজিবিটি এবং জেন্ডার আইডিওলজিসহ ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কনটেন্ট বইতে রাখা যাবে না। পাঠ্যপুস্তক থেকে অখণ্ড ভারতের বয়ান বাদ দিয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে আনতে হবে। ইতিহাস পাঠে অবশ্যই মুসলিম শাসনের সোনালী ইতিহাস ও অবদানের আলোচনা নিশ্চিত করতে হবে। কিসের ভিত্তিতে এই সমন্বয় কমিটি এবং সংশোধন ও পরিমার্জন টিম গঠিত হলো ও সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হলো এবং কেন সেখানে কোন শিক্ষাবিদ ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নেই, সেটা জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে। গণমানুষের চাহিদাকে আমলে নিয়ে নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতিফলন থাকতে হবে।</p> <p>লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমাদের পাঠ্যপুস্তকের অনেক কনটেন্টই ইসলামের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। অখণ্ড ভারতের বয়ান রয়েছে ইতিহাসে। মুসলিম শাসন আমলকে সচেতনভাবে বিকৃত ও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টাও পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া শিল্প ও সংস্কৃতি বইটা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে, মুসলিম সন্তানদের নাচগানে বাধ্য করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। অন্যদিকে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরিফার গল্প তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। এই গল্পের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিকৃত পশ্চিমা এলজিবিটি মতাদর্শের প্রবেশ ঘটে। এই বাস্তবতায় ধর্ম উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষাবিদদের উপযুক্ত টিম কর্তৃক পাঠ্যপুস্তকগুলো রিভিউ করা জরুরি, যারা ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবেদনশীল যেকোনো বিষয়বস্তু চিহ্নিত করবেন, সংশোধন করবেন এবং প্রয়োজনে বাদ দেবেন।</p>