<p>কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও কাটেনি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭৬ শতাংশ বঞ্চিত হচ্ছে আবাসিক সুযোগ থেকে। সিটের অপর্যাপ্ততায় আর্থিক অস্বচ্ছতা থাকা সত্ত্বেও হলে উঠতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। যদিও প্রশাসন বলছে, 'নতুন ক্যাম্পাস চালু হলে আবাসিক সংকট কেটে যাবে।' </p> <p>রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৯টি বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫৯৯৮ জন। ২০২২-২৩ বর্ষে নতুন আরো ভর্তি হবে ১০৩০ জন শিক্ষার্থী। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাইবান্ধায় মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729685880-2450aa6a9b8d987b791cab0ea357573d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাইবান্ধায় মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/23/1438326" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের তিনটি এবং মেয়েদের দুটি মোট পাঁচটি হলে আসন সংখ্যা রয়েছে ১৪৩০টি। এর মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম হলে ১৬০টি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে ১৪৮টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪৫২টি, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলে ৩০২টি এবং শেখ হাসিনা হলে ৩৬৮টি আসন রয়েছে। </p> <p>অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যার হিসেবে শতকরা মাত্র ২৪ জন শিক্ষার্থী আবাসিকতার সুযোগ পাচ্ছে। বাকি ৭৬ জন শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে মেস ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। </p> <p>এদিকে অল্প সিট থাকার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আবাসিক হলগুলোতে এখনও সিট ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলে ৭২টি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে ২৯টি, কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৩৮টি। </p> <p>হল প্রভোস্টরা বলছেন, দ্রুতই খালি আসন গুলোতে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729686464-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/23/1438331" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শিক্ষার্থীরা জানান, আবাসন সংকটের কারণে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়তে হয় তাদের। প্রতিমাসেই সিট ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচরাচর সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। </p> <p>এ নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী সানজিদা কাঁকন বলেন, 'আবাসিক হলের অপর্যাপ্ত সিটের কারণে শিক্ষার্থীদের মেস বা বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়। এতে আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শহরে বাসা বা মেস নিলে তাদের বাসে যাতায়াত করতে হয়। বাসের শিডিউল মেইনটেইন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। আমি চাই এটার সমাধান হোক।’ </p> <p>অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের রুবেল বৈরাগী জানান, 'সিট সংকটের কারণে আমাদের সময়, যোগাযোগ, নিরাপত্তা এবং আর্থিক নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের নিকট বিনীত অনুরোধ, এই বিষয়ে সুদৃষ্টি প্রদানের জন্য, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকেই নিজেকে গড়ে তুলতে পারে।' </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রেকর্ড শূন্যপদে নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729685588-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রেকর্ড শূন্যপদে নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/23/1438324" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার জানান, শিক্ষার্থীদের আবাসিক যে সংকট সেটা আগেই সমাধান করা উচিত ছিলো। বর্তমান প্রশাসন এই বিষয়টা অবগত রয়েছে। আমাদের যে নতুন ক্যাম্পাস হচ্ছে সেটা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই সাথে হলগুলোও। তখন আমরা শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবো। হলগুলো যেন যতদ্রুত সম্ভব তৈরি হয়, সেই ব্যাপারে বর্তমান প্রশাসন খুবই সচেতন রয়েছে। </p> <p>আবাসিকতার সংকট নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, 'এই মুহূর্তে আসলে আবাসন সংকট সমাধান নিয়ে কিছুই সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা হল প্রশাসনকে বলেছি, একসিটে ডাবলিন করে হলেও কিছুটা পুসিয়ে দেওয়া। তবে আমাদের নতুন ক্যাম্পাসে আশা রাখছি সকল সমস্যার সমাধান হবে। সবার আবাসিকতা নিশ্চিত হবে।'</p>