<p>রাজধানীর কুর্মিটোলার সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘গ্লোবাল মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি সপ্তাহ ২০২৪’ উদযাপন করা হয়েছে। ইউনেস্কো ঢাকার সহযোগিতা এবং কলেজটির ইনফরমেশন ক্লাবের তত্ত্বাবধানে রবিবার (২৭ অক্টোবর) কলেজ ক্যাম্পাসে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী দিনব্যাপী এই প্রোগ্রামে অংশ নেন।</p> <p>অধ্যক্ষ উইং কমান্ডার মো. মনিরুজ্জামান পিএসসির সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকার সেক্টর লিড (কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন) নূরে জান্নাত প্রমা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সচিব, সদস্য (প্রশাসন), সিএএবি ও সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ।</p> <p>আমন্ত্রিত বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন ক্লাবের মডারেটর আব্দুর রহমান সুমন এবং কালের কণ্ঠ পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া বিভাগের প্রধান যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং দেশের বিশিষ্ট মিডিয়া ও তথ্য বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।</p> <p>অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরে জান্নাত প্রমা বলেন, বর্তমান তথ্যবহুল যুগে মিডিয়া এবং তথ্য সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মাধ্যমের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের সঙ্গে সঙ্গে তথ্য বিভ্রান্তি মোকাবিলা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে তথ্য যাচাই-বাছাই করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।</p> <p>বিশেষ অতিথি আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ বলেন, মিডিয়া এবং তথ্য সচেতনতা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং সমাজের প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয়। তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন করতে এই ধরনের আয়োজনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।</p> <p>আলোচনায় বক্তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে মিডিয়া লিটারেসি কেবল তথ্য সংগ্রহ নয়, বরং তথ্যের সত্যতা যাচাই এবং জনস্বার্থে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়। শিক্ষার্থীদের এই দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে তারা ভবিষ্যতে সমাজে সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অবদান রাখতে পারে। অনুষ্ঠানে আলোচিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে নতুন প্রজন্ম মিডিয়া এবং তথ্য সচেতনতার বিষয়ে অত্যন্ত উৎসাহী।</p> <p>আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষ উইং কমান্ডার মো. মনিরুজ্জামান, পিএসসি বলেন, ‘এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের তথ্যের প্রতি সচেতনতা বাড়িয়েছে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মিডিয়া লিটারেসি শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে উৎসাহিত করব।’</p> <p>অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা। পোস্টার প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, ওয়াল ম্যাগাজিন, আর্ট অ্যান্ড পেইন্টিং এবং সৃজনশীল রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা এবং তথ্য বিশ্লেষণের দক্ষতা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।</p>