<p>রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল ধরনের লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় আনন্দ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বেরোবি শাখার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।</p> <p>সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর থেকে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং প্রধান ফটকে এসে আনন্দ মিছিল শেষ হয়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।</p> <p>সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলনে লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী।</p> <p>এই সময় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি থাকায় সন্ত্রাসবাদ, হানাহানি ও মারামারি বেশি হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এখন এই সিদ্ধান্ত আমাদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।</p> <p>বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রদল লেজুড়বৃত্তি, চাঁদাবাজি, হল দখল, এই সকল কর্মকাণ্ডে ছাত্রদল বিশ্বাস করে না। এই অন্যায়গুলার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান। ছাত্রলীগ যেসব কর্মকাণ্ড করেছে আবু সাইদকে হত্যা করেছে এসব কর্মকাণ্ডকে আমরাও ঘৃণা করি। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাজনীতি করতে চাই। আমরা তাদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক, একাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলের সিট বাণিজ্য, হলে দখলদারিত্ব এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। এখনো যদি কারো সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>