<p style="text-align:justify">নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় রামেকের ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">ওই ছাত্রলীগকর্মীর নাম শিহাব আল রশিদ ওরফে গালিব। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।</p> <p style="text-align:justify">রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী নাম না বলার শর্তে বলেন, ‘ছাত্রলীগের এই কর্মীকে গালিব নামে সবাই চেনে। এমন কোনো অপকর্ম নেই যে গালিব ও তার বন্ধুরা করেনি। ডা. নওশাদের মতো দলদাস অধ্যক্ষও তাকে স্থান দিতে সাহস করেনি। ২০১৭ সালে রামেক থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়ার পরে রংপুর মেডিকেল কলেজে যায় সে। সেখান থেকেও বহিষ্কার হয়ে আবার রামেকে এসেছে। ফাইনাল প্রফ পরীক্ষা দিচ্ছে, ইন্টার্নিও নাকি করবে।’<br />  <br /> ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘২০১৭ সালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তৎকালীন ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে চলাফেরা করতো এই গালিব। ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে মদ পান, গাঁজা সেবন, সিনিয়রদের মারধর, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর, হুমকি ও চাঁদাবাজি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সিনিয়র ব্যাচের এক মেয়েকে প্রকাশ্যে অশ্লীল কথা বলেও বিতর্কে জড়ান গালিব। যা নিয়ে সেদিন রাতে হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। ২০১৭ সালে ছাত্রদল ও শিবিরকে হল থেকে বের করে দেওয়ার সময় প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে গুলি করেছিল ছাত্রলীগের এই ক্যাডার।’</p> <p style="text-align:justify">নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শিহাব আল রশিদ ওরফে গালিব রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র। ২০১৭ সালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে বৃত্তিমূলক (প্রফ) পরীক্ষা দিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে আসেন।’</p> <p style="text-align:justify">ওসি বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে চিনতে পেরে বন্ধ গেট এলাকায় নিয়ে যায়। পরে তাকে রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করেন।’ একটি মামলায় গালিবকে আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।</p>