<p>ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‍্যাগিং চলাকালে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে অন্য শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একই বর্ষের সঞ্জয় বড়ুয়া। তারা একই বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অশ্লীল অভিনয়সহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাজশাহীতে বৃক্ষপালনের নামে কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1731991253-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাজশাহীতে বৃক্ষপালনের নামে কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/19/1448273" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানা যায়, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজনকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শেহান দেখা করতে বলেন। পরে তাদের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীদের চারজনকে রেখে বিভিন্ন কাজ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর চারজনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। তারা ভুক্তভোগী নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, অভিনয় করানোসহ কয়েক ঘণ্টাব্যাপী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।</p> <p>পরে রাত ১২টার দিকে ঘটনার খবর পেয়ে হলের অন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে প্রক্টর ও প্রভোস্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মধ্যরাতে তাদের ক্যাম্পাসস্থ থানায় পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়।</p> <p>ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাতেও নবীন ব্যাচের বারোজন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী সাদী অ্যান্ড হাদী ছাত্রাবাসে ডাকেন অভিযুক্তরা। ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল, সাব্বির, সাকিব, শেহান, কান্ত বড়ুয়া এবং জিহাদ তাদের নির্যাতন করে। তাদের রাত আড়াইটা পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পর্ন তারকাদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। কাউকে অশ্লীল অভিনয়ও করতে বলা হয়। এ ছাড়া তিনজনকে দিয়ে অশ্লীল কবিতা পাঠ করানো হয় এবং নানা রকম হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1731993293-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/19/1448280" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অভিযুক্ত শরীফ শেহান বলেন, ‘আমি হলের কক্ষে ছিলাম না। পরে আমাকে ডাকা হয়। এ সময় ভেতরে গিয়ে সিনিয়র ভাইদের দেখতে পাই। এর আগে মেসে জুনিয়রদের সঙ্গে আমরা বসে ছিলাম। ওইদিন ভিসি, প্রক্টর স্যারের নামসহ, বিভাগের সব শিক্ষকের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। এ সময় কেউ না পারলে তাকে একটু ধমকও দেওয়া হয়। তবে এ সময় কাউকে মারধর বা শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।’</p> <p>হলের সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ এলে আমি সেখানে গিয়ে দেখি, সাব্বির এবং সঞ্জয় দুজন মিলে ওদের র‍্যাগ দিচ্ছে। পরে ঘটনা জিজ্ঞাসা করলে তারা অস্বীকার করে। এরপর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তখন ভুক্তভোগীরা র‍্যাগিং চলছিল এটি নিশ্চিত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের থানায় সোপর্দ করা হয়।’</p> <p>ইবি থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাসুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ছয়জনকে নিয়ে এসেছে। পরে তাদের থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’</p> <p>লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘থানা ক্যাম্পাসের ভেতরে হওয়ায় রাতে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তরা আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলেও ভুক্তভোগীদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’</p>