<p style="text-align:justify">‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়েছিল ভর্তি কমপ্লিট। এখন বলা হচ্ছে ভর্তি বাতিল। আমরা যদি বাতিল হয়ে যাই, তাহলে আমাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষের যদি যান্ত্রিক ত্রুটি হয়, সঙ্গে সঙ্গে বলে দিতে পারত। এক মাস সময় নিল কেন? এক মাস পরে বলছে ভর্তি বাতিল। এখন আমরা কোথায় যাব? আমাদের মরা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ </p> <p style="text-align:justify">কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি শিক্ষা বর্ষে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী সাতুল মনি। </p> <p style="text-align:justify">অন্য শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের ইকরা আক্তার বলেন, ‘আমি আগে ভর্তি ছিলাম কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্টক্লোজিতে। এখানে আমার মাইগ্রেশনে সাবজেক্ট আসছে অর্থনীতি। ভাইভা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। ভর্তির সময় রিসিট চেয়েছি। তখন বলছে তোমাদের ভর্তি শেষ, তোমরা এখন যাও। ক্লাস করতে থাকো পরে সব পেপারস দিয়ে দেওয়া হবে। ওরিয়েন্টেশনসহ তিন দিন ক্লাস করেছি। পরে ফোন দিয়ে আমাদের বলে ভর্তি বাতিল হয়েছে। কাগজপত্র ও টাকা উঠায় নিতে বলেছে। এখন আমরা কোথায় যাব। এখন তো অন্য কোথাও আমাদের ভর্তি নেবে না। আমরা তো মাইগ্রেশন অফ রেখেছি। এখন আমাদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এখানে ভর্তি বাতিল হলে, শিক্ষা জীবন হয়তোবা শেষ হয়ে যাবে।’ </p> <p style="text-align:justify">মনি ইকরা নয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন শিক্ষার্থীর ভর্তিসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন অনেকটা হুমকির মুখে পড়েছে। ভর্তির পর বাতিল করায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন অভিভাবকরাও।</p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, টেকনিক্যাল কারণে তাদের ভর্তিতে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছেন ভর্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান।   </p> <p style="text-align:justify">এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. বাবর আলী মল্লিক বলেন, ‘ছাত্ররা ভর্তি হয়ে গেছে। ওদের মাইন্ড সেট হয়ে গেছে। এদের ক্লাস হবে-এটাই জানতাম। কিন্তু ফোন বা মেসেজ দিয়ে বলতেছে তোমার ভর্তি বাতিল। সরকারি ফি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি এরা দিয়ে ভর্তি কমপ্লিট করেছে। এখন ভর্তি বাতিল হয় কিভাবে। এ জন্য আমরা খুবই টেনশনে আছি।’   </p> <p style="text-align:justify">আরেক অভিভাবক তাইরিন ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে টেকনিক্যাল সমস্যার কথা বলছে, তার দায়ভার তো আমাদের না, এটা তাদের। আমরা কেন ভুক্তভোগী হব। এসব সমস্যা সমাধান করে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ক্লাসে বসার সুযোগ সৃষ্টি করবে, প্রশাসন এই দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টেকনিক্যাল পারসনদের সংকেত বুঝতে ভুল হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি ‘ </p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখান থেকে যে সুপারিশ আসবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।</p>