<p>ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী (রাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।</p> <p>বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘ভারতের দাদাগিরি, থুথু মারি থুথু মারি’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার দেশের অপমান, সইবে না রে জনগণ’, ‘মোদির কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দাদাগিরি, চলবে না চলবে না’, ‘ভারতের বন্দিশালায়, লাথি মার ভাঙরে তালা’, ‘ভারতের তাল বাহানা, এই বাংলায় চলবে না’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, দাঙ্গাবাজের ঠাঁই নাই’, ‘দূতাবাসে হামলা কেন, মোদি জবাব দে’, ‘ভারতের পণ্য, বয়কট বয়কট’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।</p> <p>সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত মিশু বলেন, বাংলাদেশের দূতাবাসে ভারতের উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা যে হামলা চালিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। তারা স্পষ্ট জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে। মোদি সরকার যদি অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সারা পৃথিবীব্যাপী আমরা এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলব। বাংলাদেশে আর ভারতীয় আগ্রাসন চলবে না। মালদ্বীপের মতো ছোট্ট দেশ যদি ভারতকে লাথি দিয়ে বের করে দিতে পারে, সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা এই সমাবেশ থেকে ভারতের সকল পণ্য সেবা বয়কট ঘোষণা করছি।</p> <p>সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী মো. ফাহিম রেজা বলেন, ভারত রাষ্ট্রের কিছু মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী আমাদের দূতাবাসে হামলা করেছে, আমাদের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে যেটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ভারত যেভাবে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার গুজব ছাড়াচ্ছে এরও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমাদের আন্দোলনটা অহিংস আন্দোলন। অহিংস আন্দোলনের অন্যতম একটি হাতিয়ার হচ্ছে পণ্য বয়কট, যার মাধ্যমে সেদেশের অর্থ বাণিজ্যকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। তাই আমরা ভারতের সকল ধরনের পণ্য বয়কট করছি। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই তাদের যে আগ্রাসী মনোভাব সেটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করছে না। যার ফলশ্রুতিতে আপনারা শুধু হাসিনার মন রক্ষা করলে চলবে না, বাংলাদেশের বিশ কোটি মানুষের মন রক্ষা করতে হবে।</p> <p>এর আগে, রাত সাড়ে ৯টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে মিলিত হয়। পরে বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা মূল মিছিলে মিলিত হয়। </p>