ঢাকা, শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
৩০ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ রমজান ১৪৪৬

সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি
ছবি : কালের কণ্ঠ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করেন। পরে আটক থাকা অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসে ভাঙচুর চালান। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা সমন্বয়কদের ওপর চড়াও হন।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ভাঙচুর করা ওই বাস ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন

‘এখনই কোয়ার্টারে চলে এসো’, নারীর জবানিতে অধ্যক্ষের অপকর্ম

‘এখনই কোয়ার্টারে চলে এসো’, নারীর জবানিতে অধ্যক্ষের অপকর্ম

 

জানা যায়, জিওগ্রাফি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া শহরের কাউন্টার থেকে কথা বলে এসবি পরিবহনের বাসে ওঠেন।

পরে তাদের পেছনে কাউন্টারে কথা বলা ব্যতীত বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ জনের মতো শিক্ষার্থীও বাসে ওঠেন। তারা বাসে ওঠার মিনিট দশেক পর বাসের সুপারভাইজার কাউন্টার থেকে বাসে ফিরে কাউন্টারে কথা বলা ১৩ জনের বাইরে অন্য শিক্ষার্থীদের নেমে যেতে বলেন। পরে এ নিয়ে সুপারভাইজার ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাদের অন্য বন্ধুদের খবর দিলে তারা প্রধান ফটকের সামনে থেকে বাসটি আটক করেন।

ওই বাস ছাড়াও এসবি পরিবহনের আরো একটি বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বাসে অসুস্থ ও বিদেশি যাত্রী থাকায় কিছুক্ষণ আটক রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাস আটক করার সময় মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী আহত হন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুষ্টিয়া প্রেরণ করা হয়।

আরো পড়ুন

ইন্টারনেটের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের পোস্ট

ইন্টারনেটের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের পোস্ট

 

আহত মোস্তাফিজুরের দাবি, বাস আটক করার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার পা কেটেছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস আটক করার সময় মোস্তাফিজ বাসের গাড়ির দরজার গ্লাসে লাথি দেওয়ার ফলে তার পা কেটে যায়।

আহতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তেমন কোনো সিরিয়াস ইনজুরি না। সার্প কাটিং হয়েছে। এমন আঘাত গ্লাস বা ধারালো কিছুতে হয়।’

জানা গেছে, মোস্তাফিজ আহত হওয়ায় তার বিভাগের কয়েকজন বন্ধু প্রধান ফটকে আটক থাকা বাসটিতে ভাঙচুর চালান। হঠাৎ করে তারা ফটকের সামনে উপস্থিত হয়ে বাসের দিকে অনবরত ইট ছুড়তে থাকেন। এতে বাসের সামনের গ্লাসটি ভেঙে যায়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা গাড়ি ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা তাদের ওপর চড়াও হন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে রাত দেড়টার দিকে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, ‘হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থী এসে এলোপাতাড়ি বাসে ইট ছুড়তে থাকে। এ সময় আমরা তাদের বাধা দিলে তারা উল্টো আমাদের ওপর চড়াও হয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা পরিবেশ শান্ত করেন।’

আরো পড়ুন

ঢাকার পুঁজিবাজারে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৫৬ কোটি

ঢাকার পুঁজিবাজারে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৫৬ কোটি

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কে বা কারা বাস ভাঙচুর করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন

বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাতের রানি রজনীগন্ধা

    সপ্তম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বইয়ের পঞ্চম অধ্যায়ে তোমরা রজনীগন্ধা ফুল সম্পর্কে জেনেছ। রাতের রানি নামে পরিচিত এই ফুল বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
আল সানি
আল সানি
শেয়ার
রাতের রানি রজনীগন্ধা

‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’ সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে বাংলা গানের এই লাইন হয়তো তোমরা অনেকেই শুনেছ। সুগন্ধি এই ফুল Asparagaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। রাতে ফোটে ও সুগন্ধ ছড়ায় বলে এর নাম রজনীগন্ধা। ফুলদানিতে এই ফুল সাত থেকে ১০ দিন সজীব থাকে।

প্রতি রাতেই সুগন্ধ ছড়িয়ে ঘরের পরিবেশকে বিমোহিত করে। ইংরেজিতে Tuberose নামে পরিচিত এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Agave amica. এই ফুলের আদি নিবাস মেক্সিকো। দেশীয় ফুল না হলেও বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায় রজনীগন্ধা। ভারতীয় উপমহাদেশে এই ফুল পর্তুগিজদের হাত ধরে আসে।

বাণিজ্যিক চাহিদার দৃষ্টিকোণ থেকে এই ফুলের জুড়ি নেই। বিয়ে, জন্মদিন, পূজা-পার্বণ এই ফুল ছাড়া জমেই না। ঘরের শোভা বাড়াতে ফুলদানিতে এর অবস্থান অনন্য। এ ছাড়া মালা, পুষ্পস্তবক, বেণি ও মুকুট তৈরিতেও এ ফুল ব্যবহৃত হয়।

এই ফুলের নির্যাস থেকে সুগন্ধি দ্রব্যও তৈরি করা হয়। রজনীগন্ধা লম্বা ডাঁটার মাথায় মঞ্জরি আকারে হয়। এর পুষ্পদণ্ডের প্রথম ফুল ফুটলেই ডাঁটিসহ ফুল কাটতে হয়। ভোরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অথবা পড়ন্ত বিকেলে ফুল কাটতে হয়। ধারালো ছুরি বা সিকেচার দিয়ে মাটি থেকে ৪-৬ সেন্টিমিটার ওপরে ফুলের ডাঁটি কাটতে হয়।

এর ফলে গোড়ার বাড়ন্ত কুঁড়ির ক্ষতি হয় না।

রজনীগন্ধার সাধারণত তিনটি জাত; যেমন—সিঙ্গল, সেমিডাবল, ডাবল আমাদের দেশে দেখা যায়। এর মধ্যে সিঙ্গল জাতে রয়েছে পার্ল, বোম্বে, ক্যালকাটা ও সিঙ্গল মেক্সিকান। ডাবল জাতে রয়েছে ডাবল পার্ল ও প্রোজ্জ্বল। সিঙ্গল জাতের ফুলগুলোতে পাপড়ি এক সারিতে হয়। দেখতে সাদা ও খুব সুগন্ধযুক্ত হয়। প্রোজ্জ্বল, সেমিডাবল, ডাবল জাতগুলোতে দুই বা তার বেশি পাপড়ি দেখা যায়। দেখতে হালকা লালচে ধরনের এবং কম সুগন্ধযুক্ত হয়।

মার্চ-এপ্রিল মাস রজনীগন্ধার কন্দ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আমাদের দেশের যশোর, সাভার, নরসিংদী প্রভৃতি এলাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে এই ফুলের চাষ হচ্ছে। টবে উপযুক্ত মাটিতে পাশাপাশি কয়েকটি কন্দ লাগিয়ে নিয়মিত পানি ও মাঝেমধ্যে সামান্য  খৈল ও গোবর পচানো মিশ্রণ দিলে ভালো ফুল পাওয়া যায়।

রজনীগন্ধা গাছে নানা রকম রোগ হয়। এর মধ্যে বোট্রাইটিস পাতায় দাগ ও ব্লাইট অন্যতম। পাতায় ও কাণ্ডে এই রোগের প্রকোপ বেশি। এই রোগ দমনে রোভরাল (ম্যানকোজেব) ০.২ শতাংশ হারে সাত থেকে ১০ দিন অন্তর স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

মন্তব্য

১৫ জুলাই ঢাবিতে হামলা : উসকানিদাতা ৭০ শিক্ষক ও ১২২ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১৫ জুলাই ঢাবিতে হামলা : উসকানিদাতা ৭০ শিক্ষক ও ১২২ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী
ঢাবিতে হামলা

গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৭০ জন শিক্ষক ও ১২২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উঠে এসেছে তথ্যানুসন্ধান কমিটির কাছে। এসব শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নানাভাবে হামলায় ইন্ধন ও উসকানি দিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের হাতে এ প্রতিবেদন জমা দেন তথ্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা। এরপর সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ।

প্রতিবেদনে হামলার ঘটনায় মাত্র ২৫ শতাংশ তারা তুলে আনতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২২ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছি। বহিরাগত অনেকেও হামলায় জড়িয়েছে।

বিশেষত মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মাহফুজুল হক বলেন, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মেয়েদের বাস থেকে নামাচ্ছে এবং পেটাচ্ছে। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশেষত মেয়েগুলোকে ধরে ধরে পেটানো হচ্ছে।

একজন মেয়ে হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে চাচ্ছিল, তার হাত ধরে রেখেছে, এটা তো শ্লীলতাহানির পর্যায়ে পড়ে।

হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ জুলাইয়ের হামলা ছিল পুরোটাই পরিকল্পিত। সেখানে দুটি গ্রুপ ছিল সাদা ক্যাপ পরিহিত; একটি গ্রুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে, আরেকটি গ্রুপ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে। হামলায় সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাওয়া গেছে। আগে থেকে পরিকল্পনা না হলে এভাবে সম্ভব না।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের ফটকের এবং জরুরি বিভাগের ভেতরেও হামলা হয়েছে। ডাক্তারদের চিকিৎসা না দিতে বলা হয়েছে। সেসব ভিডিও আমরা পেয়েছি।

প্রতিবেদনে তারা জানান, হামলার নিকৃষ্টতম দিক ছিল নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং হাসপাতালে গিয়েও হামলা করা হয় এবং ডাক্তারদের চিকিৎসা প্রদানে বাধা প্রদান করা হয়। এটিকে তারা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।

সেদিন মেয়েদের টার্গেট করে মারা হয়েছে উল্লেখ করে মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, মেয়েদের ওপর হামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও (ছাত্রলীগের)। এসব হামলায় প্রশাসন অবগত থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে প্রশাসনের নেগলিজেন্সের (অবহেলা) প্রমাণ পেয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের সামনে মেয়েদের পেটানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কিছু জানে না। ১৬ তারিখ বাইরে থেকে বাস এনে মুহসীন হলের মাঠে রাখা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা দেখিনি। মুজিব হলের পকেট গেট দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ করানো হয়েছে, হলের কর্মচারীরা প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের ফোন দিয়েছেন। তারা ফোন ধরেননি। এখানে শুধু অবহেলা হয়েছে ব্যাপারটা এমন নয়, হয়তো তারা এসব জানতেন। জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি।

তিনি বলেন, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মেয়েদের পেটানো হচ্ছে। আমাদের কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে, উপাচার্য বা প্রশাসনের কেউ উঁকিও দেননি। কোনো মন্তব্যও করেননি। পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি।

প্রায় ৭০ জন শিক্ষক হামলা উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তদন্তে দেখেছি, যারা আন্দোলন করছে, তাদের ‘পাকিস্তানের দালাল’, ‘শিবিরকর্মী’ বা ‘ছাত্রদলকর্মী’- বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এসব শিক্ষক। ছাত্ররা এসব পোস্ট প্রিন্ট করে আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। সেসব শিক্ষকও এমন কথা স্বীকার করেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রতিবেদনে হামলা ও সহিংসতার কতটুকু কাভার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আরো শনাক্ত করার সুযোগ আছে। তবে আমরা মনে করি, ২৫ ভাগ তুলে আনতে পেরেছি আমরা।

সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগত ভিডিও সংগ্রহ করেছি। কিন্তু আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পাইনি। প্রত্যেক হলের হার্ডড্রাইভ খুলে নিয়ে গেছে। ভিসি চত্বরের হার্ডড্রাইভে আমরা কিছু পাইনি। অনেক জায়গায় ক্যামেরা এমনভাবে লাগানো, শুধু গাছ দেখা যায়।

প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া সংবাদ সংক্ষেপে সত্যানুন্ধান কমিটি জানায়, হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছিল, তার সঙ্গে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান বিচার-বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
বিএসএমএমইউ’র নাম বদল করে ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ অনুমোদন

বিএসএমএমইউর নাম বদল করে ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ অনুমোদন

 

প্রতিবেদন গ্রহণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেটে তোলা হবে। এরপর তদন্ত কমিটি, ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ আইনি প্রক্রিয়াগুলো হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

শিক্ষার্থীর নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে মশাল মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
শিক্ষার্থীর নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে মশাল মিছিল
ছবি: কালের কণ্ঠ

ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আদৃতা রায় ও ১১ জন আন্দোলনকারীর
বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মশাল মিছিল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মশাল মিছিল বের করে একদল শিক্ষার্থী। মিছিল শেষ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিল ও সমাবেশ চলাকালে শিক্ষার্থীরা পুলিশের আক্রমণের বিচার ও অব্যাহত ধর্ষণ এবং নিপীড়ন ও সন্ত্রাস থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সজিব আহমেদ জেনিচ বলেন, ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফরমটি ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। গত পরশু আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেছে পুলিশ। আন্দোলনরত মেয়েদের গায়েও পুলিশ আক্রমণ করেছে। এই পুলিশ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সেট-আপ দেওয়া পুলিশ।

যে রাষ্ট্র ধর্ষককে ধরতে পারে না, ধর্ষণ নির্মূল করতে পারে না, আছিয়াকে বাঁচাতে পারে না, সেই রাষ্ট্র কোন সাহসে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে পুলিশকে দিয়ে হামলা করে। আমরা ধিক্কার জানাই। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার পর বেহায়ার মতো আন্দোলনকারীদের ওপর মামলাও করেছে। আদৃতা রায়সহ যাদের নামে মামলা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

মন্তব্য

ইফতারির সঙ্গে ৫০০ টাকা করে পেলেন শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইফতারির সঙ্গে ৫০০ টাকা করে পেলেন শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে প্রতিদিনই ইফতার বিতরণ করা হয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইফতার বিতরণের সময় ইফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় একটি করে ৫০০ টাকার নোট।

এক তুর্কী নাগরিক শিক্ষার্থীদের এই টাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিকেলে ৪টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংলগ্ন এলাকায় এই দৃশ্য দেখা যায়।

 

আরো পড়ুন
নারী-শিশু নির্যাতনে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করুন : খেলাফত মজলিস

নারী-শিশু নির্যাতনে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করুন : খেলাফত মজলিস

 

জানা যায়, তুরস্কের সংস্থা ‘টিকা’র সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ ইফতারের আয়োজনেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য এই আয়োজন করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং ইফতার ও টাকা সংগ্রহ করছেন।

 

এ সময় একজন মন্তব্য করেন, ‘শিবিরের ইফতার প্রোগ্রামে আজ ইফতারির পাশাপাশি তুর্কি মেহমান লাইনে দাঁড়ানো সবাইকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে এবার সেরা রমজান অতিবাহিত হচ্ছে।’

সুলতান আরেফিন নামে একজন লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের আজকের ইফতারে তুরস্কের সংস্থা টিকার সহযোগিতা ছিলো। আজকের ইফতারের আইটেমও স্পেশাল।

সাথে ছবির এই তুর্কি ভদ্রলোকটি ঈদের শুভেচ্ছা হিসেবে ৫০০ টাকা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ