ঢাকা, সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জয়পুরহাটে নারী ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে ভাঙচুর, প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জয়পুরহাটে নারী ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে ভাঙচুর, প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

জয়পুরহাটে নারীদের একটি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে মাঠের মধ্যে দেওয়া টিনের বেড়া ভাঙচুর ও পরে ম্যাচটি বাতিল হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি)  দুপুর সোয়া বারোটার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ক্লাব-এর আয়োজনে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবার শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ করেন তারা।

 

সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা বলেন,‘জয়পুরহাটে নারীদের একটি ফুটবল খেলা হতে দেওয়া হয়নি। পূর্বেও আমরা দেখেছি নায়িকাদের ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। দেশের এই যে পরিস্থিতি নারীদের প্রতি বিভিন্নমাত্রায় সহিংসতা এটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার কোনো বিবৃতি নেই।

অন্যান্য উপদেষ্টাদেরও এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আসলে কি চলছে দেশে বা মেয়েরা নিরাপদ কি-না, মেয়েরা কতটুকু নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারছে। নায়িকারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না, খেলোয়াড়রা খেলতে পারছে না। মেয়েদের প্রতি এই যে উগ্রতা, এই যে সহিংসতা এগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং রাষ্ট্রকে এর দায়ভার নিতে হবে।
 

জয়পুরহাটের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি করে গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি আমাদের বোনেরা কীভাবে বিপ্লবী ভূমিকা পালন করেছে। তারা বাংলাদেশের যেকোনো অন্যায়ে আপোষহীন মনোভাব লালন করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের বাংলার বাঘিনীরা কখনো পিছপা হয়নি। জয়পুরহাটে নারীদের অদমিত করবার জন্য যে-সব উগ্রবাদী খেলার মাঠে নৃশংস হামলা চালিয়েছে তাদেরকে অতিদ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। উগ্রবাদ নিপাত যাক, বাংলাদেশের নারীরা মুক্তি পাক।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় আসেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ স্মারকলিপি দেয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এক কর্মকর্তা এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

স্মারকলিপি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আজ প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছি।

সেখানে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব আমাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে  শোনার পর যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আশ্বাস পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে যাচ্ছি।’

আরো পড়ুন
৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

 

এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সমাবেশের মাধ্যমে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আর্মি ক্যাম্প মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব। সেই আর্মি আসতে চার ঘণ্টা লেগেছিল। ফলে রক্তাক্ত হয়েছে আমাদের ভাইয়েরা।

তাদের অনেকে ঢাকায় ভর্তি আছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে বহিরাগত ছাত্রদল, যুবদল সন্ত্রাসীরা আমাদের জখম করেছে।’

দাবি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে তাকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। ছাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

যারা আহত হয়েছে তাদের সহায়তা দিতে হবে এবং কুয়েটের প্রশাসনকে স্বীকার করতে হবে যে ছাত্রদল দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। যারা এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং মামলা করতে হবে। সর্বশেষ উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।

খুলনা অফিস জানায়, রবিবার সকালে কুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে হল ত্যাগ করেন। মাথায় লাল কাপড় বেঁধে, হল শাটডাউন করে সকাল ৮টা থেকে তারা দুটি বাসযোগে কুয়েট ত্যাগ করেন। 

আরো পড়ুন
সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম সাদিয়া

সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম সাদিয়া

 

যাত্রার আগে কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে তারা সাংবাদিকদের জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হামলায় প্রমাণিত হয়েছে কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। সুতরাং এই প্রশাসনের আওতায় তারা আর কুয়েটে নিরাপত্তা বোধ করছেন না।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বহিরাগতরাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সেই থেকে কুয়েটে অস্থিতিশীল অবস্থা চলছে। পরদিন জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই কুয়েটে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ফরম বিতরণের চেষ্টা, উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ফরম বিতরণের চেষ্টা, উত্তেজনা
সংগৃহীত ছবি

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে দলীয় ফরম ও লিফলেট বিতরণ করতে গেলে একদল শিক্ষার্থীর প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। 

আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা রিদুয়ান রিদুর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ক্যাম্পাসে দলীয় ফরম ও লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করে।

এ সময় তাদের সঙ্গে বহিরাগতরাও ছিল। এতে কলেজের একদল শিক্ষার্থী বাধা দেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা রিদু সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে : বিএনপি নেত্রী শিরিন

আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে : বিএনপি নেত্রী শিরিন

 

এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল করিম বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল, আছে, থাকবে। আমাদের কয়েকজন কর্মী ক্লাস করতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি তাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের কেউ সেখানে ফরম বিতরণ করতে যাইনি।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তীব্র ছাত্র-গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি বন্ধ থাকলেও ছাত্রদলের এক নেতা বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে।

তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তারা বের হতে বাধ্য হয়।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুয়েল বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর ছাত্রদের চাওয়াকে সম্মান করে আমরা কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করছি না। ছাত্রশিবির সব সময় শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে মূল্যায়ন করেছে। তাই এখানে ছাত্রশিবিরের নাম আসার সুযোগ নেই। সব জায়গায় ছাত্রশিবিরের নাম দেওয়া চিরাচরিত নিয়ম হয়ে গেছে।

সেদিন তো দেখলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বললেন ‘ছাত্রশিবিরের ওপর দায় দিয়ে দাও’।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকেই ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা, মিছিল, সভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আমার দেখার কিছু নেই : বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে পবিপ্রবির প্রক্টর

পবিপ্রবি সংবাদদাতা
পবিপ্রবি সংবাদদাতা
শেয়ার
আমার দেখার কিছু নেই : বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে পবিপ্রবির প্রক্টর
সংগৃহীত ছবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর আগমনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পবিপ্রবির মুক্ত বাংলার সামনে এই ঘটনায় অন্তত দুজন আহত হন। 

২৬ ফেব্রুয়ারি পবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রশাসনের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময়সভা করার জন্য আলতাফ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে সমর্থক জসিম উদ্দিন হাওলাদার, ইব্রাহিম খলিল, মতিউর রহমান দিপু দাওয়াত পেলেও আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গ্রুপ দাওয়াত না পাওয়ায় এ সংঘর্ষ হয়।

এতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ও সদস্য মতিউর রহমান দিপু আহত হন। আহতদের দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করার কারণে হাতাহাতি হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘পবিপ্রবির ক্যাম্পাসে আলতাফের আগমন সম্পর্কে আমরা উপজেলা বিএনপি কিছুই জানি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের সংঘর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, কিসের দুর্বলতা! আমার ওপর যদি হামলা হয় তাহলে প্রশাসনের কী করার আছে, প্রশাসন কি আমাকে সারা দিন পাহারা দিয়ে রাখবে।’

সংঘর্ষের কারণে শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এতে আমার দেখার কিছু নেই।’

পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আলতাফ হোসেন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে ক্যাম্পাসে আসেননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে অবদান থাকায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি বৈঠকে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।’

১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পবিপ্রবি থেকে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।

মন্তব্য

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ঢাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ঢাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
ছবি : কালের কণ্ঠ

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী ছিনতাই, হামলা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া ও দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে দাবি করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত সরকারের আমলে ধর্ষণসহ নানা অপরাধের বিষয়ে কোনো বিচার হয়নি। সে জন্য অপরাধীরা সাহস পেয়ে গিয়েছে।

সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে শক্ত হাতে অপরাধীদের দমন করতে হবে। 

প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান সানি বলেন, ‘দেশে হঠাৎ করে ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অপরাধীদের দ্রত আইনের আওতায় নিয়ে আসা, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা।

আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিরাপদে বাঁচতে চাই। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের দিতে হবে ‘ এ সময় তিনি ধর্ষকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অপারেশন ডেভিল হান্টের মতো ‘অপারেশন রেপিস্ট হান্ট’ শুরু করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ হোসেন জনি বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা হুমকি সমাজে উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক কার্যকলাপ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা নাগরিক জীবনে অনিরাপত্তার বোধ সৃষ্টি করছে।

নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এই ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা যায়। একই সঙ্গে, সাধারণ মানুষকেও এই সমস্যার সমাধানে সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল আহসান মারজান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব হলো, দেশের মানুষের জান, মাল ও ইজ্জতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

তিনি মিডিয়াতে দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছেন যে অমুক ফোর্স কাজ করছে না। সে যদি কাজ করাইতেই না পারে তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে তাকে আর প্রয়োজন নেই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করুক ‘ এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার দায়িত্ব কঠোরভাবে পালন করতে বলেন এবং যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলেন। 

প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ আলী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ