ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি

  • সপ্তম শ্রেণির আনন্দপাঠ বইয়ের ‘তোতা কাহিনি’ গল্পে তোমরা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি সম্পর্কে জেনেছ। বাড়িটি বাঙালি সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসে বেশ গুরুত্বপূর্ণ—
সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন নীলমণি ঠাকুর। ছবি : সংগৃহীত

ঠাকুরবাড়ির নাম শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। তবে এর প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর পরিবারের আরেক ঠাকুর—নীলমণি ঠাকুর। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির দেওয়ান ও উড়িষ্যার কালেক্টরের সেরেস্তাদার হিসেবে কাজ করতেন নীলমণি ঠাকুর। কর্মজীবনে বিপুল ধনসম্পদ অর্জনের পর পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন

পাঁচ বছরে নিহত ১৫৭ বাংলাদেশি, টানাপড়েনে শুরু সীমান্ত সম্মেলন

পাঁচ বছরে নিহত ১৫৭ বাংলাদেশি, টানাপড়েনে শুরু সীমান্ত সম্মেলন

 

বিবাদের ফলে তিনি কলকাতার মেছুয়াবাজারের জোড়াসাঁকো এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। এখানেই তিনি এক বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করেন, যা আজ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি নামে পরিচিত।

ঠাকুরবাড়ির গুরুত্ব শুধু রবীন্দ্রনাথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বহু প্রজন্ম ধরে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসংস্কার ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ঠাকুর পরিবার। তাঁদের হাত ধরেই প্রচলিত হয়েছিল বিভিন্ন উৎসবের নতুন নতুন রূপ।

আরো পড়ুন

অপারেশন ডেভিল হান্ট : পটিয়ায় যুবলীগ নেতা সজিব গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : পটিয়ায় যুবলীগ নেতা সজিব গ্রেপ্তার

 

তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল দুর্গাপূজা। ১৭৮৪ সালে নীলমণি ঠাকুর প্রথমবারের মতো জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন।

একসময় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির নিচ দিয়ে একটি গোপন সুড়ঙ্গপথ ছিল, যা গঙ্গার দিকে চলে গিয়েছিল। এটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তবে বলা হয় যে দ্বারকানাথ ঠাকুরের ব্যাবসায়িক লেনদেন এবং বিপদকালীন সময়ে পালানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ শাসনের সময় এই সুড়ঙ্গপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮৮০ এর দশকে কলকাতায় যখন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়েছিল তখন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতেও জ্বলেছিল।

আরো পড়ুন

যেভাবে স্থানীয় নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন

যেভাবে স্থানীয় নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন

 

৭ মে ১৮৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের বহু সময় এখানে কাটে। এখানেই তিনি তাঁর প্রথম কবিতা, গান ও নাটক রচনা করেন।

ঠাকুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও শুধু সাহিত্য বা শিল্প-সংগীতেই নয়, সমাজসংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দাদু দ্বারকানাথ ঠাকুর সমাজের নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথও এই আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যান এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত।

বর্তমানে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুর পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যবহৃত সামগ্রী, চিত্রকর্ম, পাণ্ডুলিপি এবং ফটোগ্রাফ সংরক্ষিত রয়েছে। এটি এখন একটি সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, বরং একটি শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হলে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তালিকায় নাম নেই হামলাকারীদের, ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
তালিকায় নাম নেই হামলাকারীদের, ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘটিত সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে গত বছরের ১৫ জুলাই ঢাবিতে হামলায় সরাসরি অংশ নিলেও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, বাকি হলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামসহ হামলায় অংশ নেওয়া অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম তালিকায় না আসায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। 

এতে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এতো সময় নিয়ে তদন্ত করে মাত্র ১২৮ জনকে বহিষ্কার করেছে।

কিন্তু হামলাকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ এর মতো। ঢাকা মেডিক্যালের বহিঃবিভাগে ঢুকেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। এতো প্রমাণ, ছবি, ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও কেন তাদের বহিষ্কার করা হয়নি সেটির জবাবদিহিতা চাইতে আমরা এখানে এসেছি। 

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক হামজা মাহবুব নিজের ফেসবুক পোস্টে বলেন, এই তালিকায় জহুরুল হক হলের ডাইনিংয়ের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে করে পেটানো জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা নাই।

এই তালিকায় জহুরুল হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি, ক্যাম্পাসের রিনোউনড মাদকব্যবসায়ী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সাকিবুর রহমান সায়েম নাই। এই তালিকায় 'চালাইদেন' পরিভাষার জনক হাফিজুর রহমান নাই। জগন্নাথ হলের ভবতোষ নামে মাত্র একজন আছে তালিকায়, আর কারও নাম নাই। 

তিনি আরো বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দুইটা মামলায় প্রায় ৬০০ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণাদিসহ মামলা করেছিলাম।

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি নাকি মাত্র ১২৮ জনকে খুঁজে পেয়েছে। 

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায় সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে 'অধিকতর তদন্ত কমিটি'। পরে এই কমিটি প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবে।

পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়, আরো তদন্ত হবে : ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়, আরো তদন্ত হবে : ঢাবি
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় সত্যানুসন্ধান কমিটি দায়ী হিসেবে যে ১২৮ জনের তালিকা করেছে সেটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ১২৮ জনের তালিকা আমলে নিয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে।

আরো পড়ুন
ঢাবির বহিষ্কৃত ছাত্রদের তালিকায় সাদ্দাম-ইনানসহ আরো যাদের নাম

ঢাবির বহিষ্কৃত ছাত্রদের তালিকায় সাদ্দাম-ইনানসহ আরো যাদের নাম

 

প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে।

সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় দায়ী হিসেবে ১২৮ জনের তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম রয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

এদিকে তালিকায় ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নাম বাদ পড়েছে’ এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল নিয়ে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। তারা তালিকা পরিমার্জন করে হামলাকারীদের যুক্ত করার দাবি জানান।

মন্তব্য

গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি, ঢাকা নামে নতুন আরো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২২টি শর্তে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করে।বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন গ্রামীণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে চিঠি দিয়ে অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৬টি।
 

মন্তব্য

২৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দিচ্ছে জবি ছাত্রশিবির

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
২৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দিচ্ছে জবি ছাত্রশিবির
ছবি : কালের কণ্ঠ

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে শাখা ছাত্রশিবির। সংগঠনটি ২৫০০ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন উপহার দেবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়। 

জানা যায়, ছাত্রসংগঠনটি কোরআন উপহার পেতে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পেজে দেওয়া লিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন চলবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত। শুধু ইসলাম ধর্মের নয়, সব ধর্ম-বর্ণের শিক্ষার্থী এ উপহার পাবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

শিবিরের এ উদ্যোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের উচিত অর্থসহ কোরআন পড়া।

শিবির আমাদের এ কাজটি করতে উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা আশা করব, আগামী দিনগুলোতেও ছাত্রশিবিরের এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে।’ 

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে করে নৈতিকতাসম্পন্ন মেধাবী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন, এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন বিতরণের ‍উদ্যোগ নিয়েছি। আজ প্রথম দিনে আমরা ৫০০ শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে কোরআন বিতরণ করছি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ