জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি

  • সপ্তম শ্রেণির আনন্দপাঠ বইয়ের ‘তোতা কাহিনি’ গল্পে তোমরা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি সম্পর্কে জেনেছ। বাড়িটি বাঙালি সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসে বেশ গুরুত্বপূর্ণ—
সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন নীলমণি ঠাকুর। ছবি : সংগৃহীত

ঠাকুরবাড়ির নাম শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। তবে এর প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর পরিবারের আরেক ঠাকুর—নীলমণি ঠাকুর। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির দেওয়ান ও উড়িষ্যার কালেক্টরের সেরেস্তাদার হিসেবে কাজ করতেন নীলমণি ঠাকুর। কর্মজীবনে বিপুল ধনসম্পদ অর্জনের পর পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন

পাঁচ বছরে নিহত ১৫৭ বাংলাদেশি, টানাপড়েনে শুরু সীমান্ত সম্মেলন

পাঁচ বছরে নিহত ১৫৭ বাংলাদেশি, টানাপড়েনে শুরু সীমান্ত সম্মেলন

 

বিবাদের ফলে তিনি কলকাতার মেছুয়াবাজারের জোড়াসাঁকো এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। এখানেই তিনি এক বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করেন, যা আজ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি নামে পরিচিত।

ঠাকুরবাড়ির গুরুত্ব শুধু রবীন্দ্রনাথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বহু প্রজন্ম ধরে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসংস্কার ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ঠাকুর পরিবার। তাঁদের হাত ধরেই প্রচলিত হয়েছিল বিভিন্ন উৎসবের নতুন নতুন রূপ।

আরো পড়ুন

অপারেশন ডেভিল হান্ট : পটিয়ায় যুবলীগ নেতা সজিব গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : পটিয়ায় যুবলীগ নেতা সজিব গ্রেপ্তার

 

তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল দুর্গাপূজা। ১৭৮৪ সালে নীলমণি ঠাকুর প্রথমবারের মতো জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন।

একসময় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির নিচ দিয়ে একটি গোপন সুড়ঙ্গপথ ছিল, যা গঙ্গার দিকে চলে গিয়েছিল। এটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তবে বলা হয় যে দ্বারকানাথ ঠাকুরের ব্যাবসায়িক লেনদেন এবং বিপদকালীন সময়ে পালানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ শাসনের সময় এই সুড়ঙ্গপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮৮০ এর দশকে কলকাতায় যখন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়েছিল তখন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতেও জ্বলেছিল।

আরো পড়ুন

যেভাবে স্থানীয় নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন

যেভাবে স্থানীয় নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন

 

৭ মে ১৮৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের বহু সময় এখানে কাটে। এখানেই তিনি তাঁর প্রথম কবিতা, গান ও নাটক রচনা করেন।

ঠাকুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও শুধু সাহিত্য বা শিল্প-সংগীতেই নয়, সমাজসংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দাদু দ্বারকানাথ ঠাকুর সমাজের নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথও এই আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যান এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত।

বর্তমানে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুর পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যবহৃত সামগ্রী, চিত্রকর্ম, পাণ্ডুলিপি এবং ফটোগ্রাফ সংরক্ষিত রয়েছে। এটি এখন একটি সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, বরং একটি শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হলে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পবিপ্রবিতে সাবেক উপাচার্যের ছেলেসহ ৬ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
পবিপ্রবিতে সাবেক উপাচার্যের ছেলেসহ ৬ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ফাইল ছবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সা‌বেক উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের ছেলে শাওন চন্দ্র সামন্ত তনুসহ ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত (বরখাস্ত) করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আরো ২৬ কর্মচারীকে সাময়িকভাবে চাকরীচ্যুতের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না নিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে। সে অনুযায়ী ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইউজিসির অনুমোদন না থাকায় ওই কর্মকর্তারা সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় খোরপোষও পাবেন না। 

উপাচার্য আরো বলেন, শুধু কর্মকর্তা নন, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।

অনেকেরই ফাইলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের কাগজ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্তত ২৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা (সাময়িক বরখাস্ত) গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাকরিচ্যুতির বিষয়টি উচ্চ আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

উপাচার্যের ছেলে ছাড়া চাকুরিচ্যুতরা বাকি কর্মকর্তারা হলেন— পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপ-রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন বাদলের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েলের ভাই মো. আরিফুর রহমান পিয়েল, পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেকের ভাই মো. হাফিজুর রহমান, দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন এবং জেলা যুবলীগের সম্পাদকের সৈয়দ সোহেলের স্ত্রী তাকছিনা নাজনীন। 

দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন সেকশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার অফিস আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার তিনি জবাব দিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এবং এর আগের কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৩৯টি পদের বিপরীতে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর রিজেন্ট বোর্ডে ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসার পদে তিনজনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। সেকশন অফিসার পদে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর  রিজেন্ট বোর্ডের ৫২তম সভায় তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাছাই বোর্ড ৬ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। ওইদিন সবাই তড়িঘড়ি করে যোগদান করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে ইউজিসির অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসারের পদ রয়েছে ৩০টি, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৮ জনকে।

পবিপ্রবির সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ কেন অবৈধ হবেনা তার কারণ জানতে সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে গতবছরের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে। শামসুল হুদা রিফাত নামের এক চাকরি প্রত্যাশীর দায়েরকৃত রিট পিটিশনের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ওই রুল দেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। 

মন্তব্য
জুলাই আন্দোলনে হামলা

জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহিষ্কার, সাময়িক বরখাস্ত ৯ শিক্ষক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহিষ্কার, সাময়িক বরখাস্ত ৯ শিক্ষক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলায় মদদদাতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

এদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যর নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১৫ জুলাইয়ের রাত জাবিতে কালোরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

জবি ছাত্রীকে হেনস্তা, ভিক্টর পরিবহনের ১০ বাস আটক

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবি ছাত্রীকে হেনস্তা, ভিক্টর পরিবহনের ১০ বাস আটক
ছবি: কালের কণ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ১০ বাস আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাসগুলো আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, জবির ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী গুলিস্তান থেকে বাসে ওঠার সময় তাকে হেনস্তা করেন ওই বাসের হেলপার। বাসের অন্যান্য যাত্রীদেরকে বিষয়টি জানালেও কেউ কর্ণপাত করেননি।

ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তার বন্ধুদেরকে জানালে তারা ভিক্টর ক্লাসিকের বাসগুলো আটকে রাখেন। তবে হেনস্তাকারী হেলপার ও বাসটিকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু সিফাত সাকিব বলেন, আমাদের ব্যাচের এক ফ্রেন্ডকে গুলিস্তান থেকে বাসে ওঠার সময় হেনস্তা করা হয়। আমরা ওই বাসের হেলপার এবং বাসটিকে আর পাইনি।

এজন্য আমরা ভিক্টর ক্লাসিকের দশটি বাস আটকে রেখেছি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রায়ই শুনি আমাদের বোনেরা এমন হেনস্তার শিকার হয়। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি যে হেনস্তার শিকার হয়েছি তা যেন আর কোনো মেয়ে না হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের অক্টোবরেও ভিক্টর ক্লাসিক বাসে হেনস্তার শিকার হন জবির আরেক ছাত্রী। এ ঘটনায় ১১ বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য

গাঁজা পাওয়ায় চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৫ জনকে শোকজ

চুয়েট সংবাদদাতা
চুয়েট সংবাদদাতা
শেয়ার
গাঁজা পাওয়ায় চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৫ জনকে শোকজ
ফাইল ছবি

আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক পাওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি তাদেরকে আবাসিক হল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৫ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ১৩টি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮৬তম সভার (জরুরি) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মার্চ চুয়েটের শেখ রাসেল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ও হলের সহকারী প্রভোস্টগণ ২টি কক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থী ও ১ জন ডাইনিং বয়কে সন্দেহভাজন অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে রুম দুটি তল্লাশি করে গাঁজা, সিগারেট ও গাঁজা সেবনের উপকরণ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শাস্তি প্রদান করে।

জানা যায়, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তিনজন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের, তিনজন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এবং দুইজন পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি পুরকৌশল বিভাগের দুইজন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের একজন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের একজন এবং জৈব চিকিৎসা কৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালার বিধি অনুযায়ী আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা ওই শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এর জবাব তাদেরকে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে লিখিতভাবে দিতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ