গুচ্ছ ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুচ্ছ ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ল
প্রতীকী ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। 

আজ শনিবার দুপুরে গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত ভর্তীচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন।

জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় আরো দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।

আগামী ১৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তীচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন।’

আবেদনের বিস্তারিত তথ্য জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট www.gstadmission.ac.bd  ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

২৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দিচ্ছে জবি ছাত্রশিবির

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
২৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দিচ্ছে জবি ছাত্রশিবির
ছবি : কালের কণ্ঠ

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে শাখা ছাত্রশিবির। সংগঠনটি ২৫০০ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন উপহার দেবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়। 

জানা যায়, ছাত্রসংগঠনটি কোরআন উপহার পেতে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পেজে দেওয়া লিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন চলবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত। শুধু ইসলাম ধর্মের নয়, সব ধর্ম-বর্ণের শিক্ষার্থী এ উপহার পাবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

শিবিরের এ উদ্যোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের উচিত অর্থসহ কোরআন পড়া।

শিবির আমাদের এ কাজটি করতে উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা আশা করব, আগামী দিনগুলোতেও ছাত্রশিবিরের এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে।’ 

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে করে নৈতিকতাসম্পন্ন মেধাবী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন, এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন বিতরণের ‍উদ্যোগ নিয়েছি। আজ প্রথম দিনে আমরা ৫০০ শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে কোরআন বিতরণ করছি।’

মন্তব্য

ক্ষীর

    অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে তোমরা ক্ষীর সম্পর্কে পড়েছ। ভূরিভোজের পর শেষ পাতে মিষ্টি খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় বিশেষ এই পদ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্ষীর

কোনো গভীর বা ঘনিষ্ঠ অবস্থা বোঝাতে আমরা প্রায়ই বলি বিষয়টি জমে ক্ষীর। দুধকে আগুনে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষীর বানানো হয়। অর্থাৎ দুধের ঘনীভূত অবস্থা বা জমে যাওয়া অবস্থাটিই ক্ষীর। এখানেই শেষ না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ আঁকাআঁকির কারণে খ্যাতি পেয়েছিলেন।

তবে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহিত্যকর্মে মন দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। উৎসাহিত হয়ে তিনি প্রথমে লিখেছিলেন ‘শকুন্তলা’। এরপর ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর রূপকথাধর্মী গ্রন্থ ‘ক্ষীরের পুতুল’। শিশুসাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে রাখা এই সাহিত্যকর্ম পরবর্তী সময়ে ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, হিন্দি, মারাঠিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়।

আরো পড়ুন
চিরিরবন্দরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আজান প্রতিযোগিতা

চিরিরবন্দরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আজান প্রতিযোগিতা

 

বাঙালির ক্ষীরপ্রেমের শিকড় সুদূর অতীতে। ধারণা করা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই ক্ষীর তৈরি হয়ে আসছে। বিশেষ করে মোগল আমলে এই খাবার রাজকীয় পদ হিসেবে উচ্চ মর্যাদা পায়। তখন দুধ ঘন করে রান্না করে নানা রকম বাদাম ও মসলা মিশিয়ে এটি পরিবেশন করা হতো।

পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব স্বাদ ও রীতি অনুসারে তৈরি হতে থাকে বৈচিত্র্যময় ক্ষীর। কোনো অঞ্চলে লালচে রঙের পায়েসের মতো ক্ষীর জনপ্রিয়। আবার কোথাও একদম ঘন মালাইয়ের মতো ক্ষীর বেশি প্রিয়। ক্ষীর তৈরির প্রধান উপাদান হলো দুধ। দুধকে ধীরে ধীরে ঘন করে তাতে চাল, চিনি, গুড় বা কনডেন্সড মিল্ক মেশানো হয়।

আরো পড়ুন
‘কন্যা’-য় মজেছেন দর্শক, মুগ্ধ মেহজাবীন-তিশারাও

‘কন্যা’-য় মজেছেন দর্শক, মুগ্ধ মেহজাবীন-তিশারাও

 

তারপর এটি ধীর আঁচে রান্না করে তৈরি করা হয় ঘন ও সুগন্ধি একটি মিশ্রণ। স্বাদ বাড়াতে অনেকে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কিশমিশ কিংবা এলাচ-দারচিনির মতো মসলা যোগ করে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ কিংবা বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভূরিভোজে ক্ষীর না হলে চলে!

অনেকে পায়েস, ফিরনি ও ক্ষীরকে একই পদ ভেবে ভুল করে। পায়েস কিছুটা পাতলা হয়, অন্যদিকে ফিরনি আঠালো দেখতে। ক্ষীর হয় একেবারেই জমাট এবং এতে চালের দানাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হলেও আস্ত থাকে। ক্ষীরের তৈরি অনেক মিষ্টি আমাদের দেশে জনপ্রিয়, বিশেষ করে ক্ষীর কদম, কানসাট, ক্ষীরের বরফি, পাতক্ষীর, ক্ষীরের পুতুল নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই।

আল সানি

মন্তব্য

পবিপ্রবিতে সাবেক উপাচার্যের ছেলেসহ ৬ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
পবিপ্রবিতে সাবেক উপাচার্যের ছেলেসহ ৬ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ফাইল ছবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সা‌বেক উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের ছেলে শাওন চন্দ্র সামন্ত তনুসহ ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত (বরখাস্ত) করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আরো ২৬ কর্মচারীকে সাময়িকভাবে চাকরীচ্যুতের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না নিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে। সে অনুযায়ী ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইউজিসির অনুমোদন না থাকায় ওই কর্মকর্তারা সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় খোরপোষও পাবেন না। 

উপাচার্য আরো বলেন, শুধু কর্মকর্তা নন, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।

অনেকেরই ফাইলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের কাগজ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্তত ২৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা (সাময়িক বরখাস্ত) গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাকরিচ্যুতির বিষয়টি উচ্চ আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

উপাচার্যের ছেলে ছাড়া চাকুরিচ্যুতরা বাকি কর্মকর্তারা হলেন— পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপ-রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন বাদলের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েলের ভাই মো. আরিফুর রহমান পিয়েল, পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেকের ভাই মো. হাফিজুর রহমান, দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন এবং জেলা যুবলীগের সম্পাদকের সৈয়দ সোহেলের স্ত্রী তাকছিনা নাজনীন। 

দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন সেকশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার অফিস আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার তিনি জবাব দিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এবং এর আগের কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৩৯টি পদের বিপরীতে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর রিজেন্ট বোর্ডে ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসার পদে তিনজনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। সেকশন অফিসার পদে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর  রিজেন্ট বোর্ডের ৫২তম সভায় তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাছাই বোর্ড ৬ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। ওইদিন সবাই তড়িঘড়ি করে যোগদান করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে ইউজিসির অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসারের পদ রয়েছে ৩০টি, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৮ জনকে।

পবিপ্রবির সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ কেন অবৈধ হবেনা তার কারণ জানতে সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে গতবছরের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে। শামসুল হুদা রিফাত নামের এক চাকরি প্রত্যাশীর দায়েরকৃত রিট পিটিশনের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ওই রুল দেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। 

মন্তব্য
জুলাই আন্দোলনে হামলা

জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহিষ্কার, সাময়িক বরখাস্ত ৯ শিক্ষক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহিষ্কার, সাময়িক বরখাস্ত ৯ শিক্ষক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলায় মদদদাতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

এদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যর নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১৫ জুলাইয়ের রাত জাবিতে কালোরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ