'চর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন'

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
'চর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন'

রংপুরে অনুষ্ঠিত বাৎসরিক আঞ্চলিক চর সম্মেলনে উপস্থিত সুধীজন উল্লেখ করেন, চর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন।

ইউএসএআইডির অর্থায়নকৃত ও কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালনাধীন সৌহার্দ্য ও ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স (এনসিএ) যৌথভাবে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চর অঞ্চলে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বর্তমান চিত্র তুলে ধরা এবং বিভিন্ন অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের প্রধান ক্ষেত্র সম্বলিত একটি 'ইনগেজমেন্ট প্ল্যান ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভস্ ফর চর রিজিওন' তৈরি করার জন্য সকলের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করা ছিল এই সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি, উপমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রাণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

একই সঙ্গে চলমান 'সফল মডেলস ও সম্ভাবনাসমূহ' ও 'বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশসমূহ' বিষয়ক দুটি আলোচনায় যথাক্রমে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মাননীয় সংসদ সদস্য (গাইবান্ধা ১), সদস্য, স্ট্যান্ডিং কমিটি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এম এ মতিন, মাননীয় সংসদ সদস্য (কুড়িগ্রাম ৩) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রমেশ সিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর, কেয়ার বাংলাদেশ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনটি সভাপতিত্ব করেন।

চর সম্মেলন ২০২১ কে কেন্দ্র করে কেয়ার বাংলাদেশ এনসিএর সাথে যৌথভাবে চর অঞ্চলে বিদ্যমান সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট সেক্টর, ব্যবসা সম্প্রদায়, উন্নয়নকর্মী এবং সিএসও/এনজিওর সাথে বেশকিছু প্রি-ইভেন্ট কনসালটেশনের আয়োজন করে। এই প্রি-কনসালটেশন সভাগুলোর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল চর অঞ্চলে চলমান উন্নয়নকার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হওয়াসহ এই অঞ্চলের উন্নয়নের সম্ভাবনা, কার্যকর মডেলসমূহ সম্পর্কে জানা ও উন্নয়নকে কেন্দ্র করে একটি এনগেজমেন্ট প্ল্যান তৈরির দিক-নির্দেশনা পাওয়া।

চর সম্মেলন ২০২১ এর উদ্দেশ্যসমূহ নির্ধারণের জন্য এই প্রি-ইভেন্ট কনসালটেশনগুলো বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। এর ফলে সকল অংশীজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সর্বাঙ্গীন ও সমন্বিত উন্নয়ন প্রচেষ্টার দিকে ধাবিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং প্রস্তাবিত উন্নয়নকার্যক্রম ও তাদের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য প্রধান প্রধান অংশীজনদের নিয়ে একটি ইনগেজমেন্ট প্ল্যান ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভস ফর দি চর রিজিওন এর প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়া সম্ভব হয়েছে।

ড. আতিউর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স ও প্রাক্তন গভর্নর, চর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় বরাদ্দকৃত ১০০০ কোটি টাকার মধ্যে ২১৭ কোটি টাকা চরে বসবাসকারী ৯৪০০০ জন মানুষের জন্য।

তিনি চরবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কমপক্ষে ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি রাখেন। তিনি মনে করেন, এডিপির আওতায় এই বরাদ্দ কমপক্ষে ৩০% হওয়া উচিত।

বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে চীনের পরপরই বাংলাদেশে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ মাইগ্রেশনের শিকার হন এবং জলবায়ুজনিত প্রভাবে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনার দিক দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম। তিনি বলেন, চর অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের আওতাধীন চর ফাউন্ডেশন/বোর্ড গঠন করা উচিত যা সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমন্বয় করবে। পাশাপাশি, চর উন্নয়নের সহায়ক নীতির ধারবাহিকতা থাকা প্রয়োজন।

প্রধান অতিথি জনাব এ কে এম এনামুল হক শামীম চর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়িত চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট প্রজেক্ট-৫ এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি মুজিব ফোর্ট (আশ্রয়কেন্দ্র) কে একটি ইনোভেটিভ কার্যক্রম বলে উল্লেখ করে। জনাব শামীম এ উন্নয়নে অংশগ্রহণকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন চরের মানুষদের উন্নয়নের জন্য সকলের সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। 

মার্ক নসব্যাক, চিফ অব পার্টি, সৌহার্দ্য, কেয়ার বাংলাদেশ বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করতে পারা নারী ও কিশোরীরা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হয়। তিনি আরো উল্লেখ করেন, উন্নয়নের নানান পরিকল্পনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হলেও চরের মানুষ অনেক সময়ই এই প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে যায়।

সৌহার্দ্য কর্মসূচি ও রাইমস জুলাই ২০১৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত যৌথভাবে 'ইমপ্রুভড ওয়েদার অ্যান্ড ফ্লাড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর কমিউনিটি বেজড রিস্ক এবং রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ' প্রকল্প পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশের চর ও হাওড় অঞ্চলে অবস্থিত, সৌহার্দ্য কর্মসূচির আওতাধীন আটটি জেলার ১৩টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে বসবাসকারী ১০,১৯১ জন মানুষের মধ্যে কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি-ফোকাসড এবং মাল্টি-সেক্টোরাল অ্যাকশন-ওরিয়েন্টেড পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষদেরকে ঝুঁকি ও তাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই কর্মশালার মাধ্যমে, অতি সম্প্রতি শেষ হওয়া এই প্রকল্প/কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ শিখনসমূহ ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়।

মন্তব্য

শুরু হতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শুরু হতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’!

চাঁদের আলোয় মখমলি হাওয়া আর সুস্বাদু খাবারের মেলবন্ধন—এবার ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’! এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিশেষ এই আয়োজন হবে এক অবিস্মরণীয় রাত, যেখানে খাবার আর বিনোদন মিলবে এক অনন্য মোড়ে।

ভোজন রসিকরা উপভোগ করতে পারবেন প্রচলিত সব খাবারের পাশাপাশি সিজলিং বারবিকিউ–ধোঁয়া ওঠা গরম কাবাব আর গ্রিল, ভিন্ন স্বাদের বাহারি সব স্ট্রিট ফুড, রঙিন সব মিষ্টির ভেলকি, গরম ও ঠাণ্ডা পানীয় স্টেশন এবং ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন–রমজানের আনন্দকে বাড়িয়ে করবে দ্বিগুণ! যেখানে একই ছাদের নিচে থাকবে ৪০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি সব রেস্টুরেন্ট ও ফুড ব্র্যান্ড।

এটা শুধুমাত্র একটি ফুড ফেস্টিভ্যাল নয় এখানে খাবারের পাশাপাশি থাকবে বিনামূল্যে আকর্ষণীয় সব বিনোদনের ব্যবস্থা। একই ছাদের নিচে অতিথিরা খাবার গ্রহণের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মেহেদি তরু এবং তাহসিন এম খানের সরাসরি পারফরম্যান্স ও ফায়ার স্পিনিং শো।

এ ছাড়াও ছোট্ট সোনামণিদের জন্য থাকবে আনলিমিটেড খেলাধুলার ব্যবস্থা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁওয়ের আলোকিতে এই জমজমাট উৎসবটি ১৮ ও ১৯ মার্চ বিকাল ৪টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলবে। বিকেল থেকে জমতে শুরু করবে উৎসবের আমেজ, আর চলবে গভীর রাত পর্যন্ত! পুরো প্রাঙ্গণ জুড়ে থাকবে হাজারো স্বাদের সমারোহ আর দারুণ সব আয়োজন! মুনলাইট ফেস্টিভ্যালে খাবারের পাশাপাশি থাকবে চমকপ্রদ সব আয়োজন—মেহেদি কর্নার, ক্লে স্টেশন সেইসঙ্গে আরো থাকবে জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের আনাগোনা।

মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১ এর সম্পূর্ণ ইভেন্টটি লাইভ করবেন জনপ্রিয় ফ্যাশন মডেল বুশরা কবির।

আরো উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় সব ফুড ব্লগার ফাবিহা নওশীন প্রভা, ইফরীত তাহিয়া সহ অনেকেই।

পুরো ইভেন্টটির স্পনসর হিসেবে থাকছেন ফুডেলা, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, আশিয়ান সিটি এবং বেভারেজ স্পনসর হিসেবে থাকছেন পার্টেক্স স্টার গ্রুপের মাম। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০২৫ সালের এখন পর্যন্ত সব চাইতে বড় ফুড ফেস্টিভ্যাল। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল’ এর প্রচারণায়! জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা এই উৎসব নিয়ে রীতিমতো মাতিয়ে তুলছেন সবাইকে।

মন্তব্য

প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের হেলিও ১০০ বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের হেলিও ১০০ বাজারে

এডিসন গ্রুপের প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড হেলিও তাদের স্মার্টফোন লাইনআপে আজ উদ্বোধন করল নতুন স্মার্টফোন হেলিও ১০০। ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকার এই স্মার্টফোনটি তে রয়েছে বর্তমান বাজারে দাম অনুযায়ী সবচেয়ে অত্যাধুনিক ফিচার।

হেলিও ১০০ সম্পর্কে এডিসন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব জাকারিয়া শাহিদ বলেন, ‘স্মার্টফোন শুধু একটি ডিভাইস নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। হেলিও ১০০ সেই অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যেখানে শক্তি, গতি ও প্রিমিয়াম ডিজাইনের মিশ্রণ ঘটেছে।

হেলিও ১০০ তে আছে অ্যান্ড্রোয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম যার কারণে ব্যবহারকারীরা পাবেন গুগলের অত্যাধুনিক সব ফিচার এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেইস। এ ছাড়াও অ্যান্ড্রোয়েড ১৪ এ গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন হাই পারফরম্যান্স, অ্যাপ ওপেনিং এবং অত্যাধুনিক কাস্টমাইজেশন অপশন।

হ্যালিও ১০০ স্মার্টফোনটিতে আছে ৬.৬৭ ইঞ্চ ১২০ হার্জের ফুল এইচডি প্লাস থ্রিডি কার্ভড এমোলেড ডিসপ্লে, এর সাথে আছে ১০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এবং ডিসপ্লে প্রোটেকশন হিসেবে আছে আয়রন গার্ড গ্লাস, যার কারণে হাত থেকে পরে গিয়ে ডিসপ্লে ভেঙে যাওয়া, ফাটল ধরা থেকে পাওয়া যাবে সুরক্ষা। কন্টেন্ট স্ট্রিমিং, গেমিং বা দৈনন্দিন কাজে এই ডিসপ্লেটি আপনাকে দেবে অসাধারণ ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।

এ ছাড়াও আছে ইন-ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডিসপ্লে।

চিপসেট হিসেবে এই হ্যান্ডসেটটিতে আছে মিডিয়াটেকের গেমিং চিপসেট ৬ ন্যানোমিটার মিডিয়াটেকের প্রিমিয়াম চিপসেট হেলিও জি১০০ এবং প্রসেসরে আছে বিদ্যুৎ গতির ২.২ গিগাহার্জ অক্টাকোর প্রসেসর। এই ডায়নামিক ডুও আপনাকে দিবে মাল্টিটাস্কিং, স্মুথ অ্যাপ ট্রানজিশন এবং ভারী গেমস খেলার সুপার ফাস্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। এতে আছে ৮ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি UMCP টাইপ ইন্টার্নাল স্টোরেজ যা দিয়ে আপনি স্টোর করতে পারবেন অনেক অনেক অ্যাপ্লিকেশন, ছবি বা ভিডিও।

UMCP মেমরি প্রযুক্তি থাকার কারণে ডেটা ট্রান্সফার হবে অনেক দ্রুত।

ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য, হেলিও ১০০ নিয়ে এসেছে ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স ৬৮২ সেন্সর যার অ্যাপারচার f/1.9, যার মাধ্যমে স্বল্প আলোতেও উজ্জ্বল এবং ভালো মানের ছবি তোলা যাবে। এ ছাড়াও সাথে রয়েছে একটি ২MP ম্যাক্রো লেন্স, যা ব্যবহারকারীদের তোলা ছবির সূক্ষ্ম ডিটেইলস সহজেই ক্যাপচার করতে সক্ষম। ৩২MP ফ্রন্ট ক্যামেরাসহ ফেস ফোকাস ফিচারটি ব্যবহার করে তোলা যাবে নিখুঁত সব সেলফি এবং ভিডিও কল হবে অত্যন্ত মসৃণ।

এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০০০mAh লি-পলিমার ব্যাটারি, যা সারাদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করা যাবে।

ব্যবহারকারী যাই করুক না কেন, এই ব্যাটারি ব্যবহারকারীর লাইফস্টাইলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম। এ ছাড়া দ্রুত চার্জ করার জন্য হ্যান্ডসেটটির সঙ্গে থাকছে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট যুক্ত চার্জার যার মাধ্যমে মাত্র ৫০ মিনিটে পাওয়া যাবে ৮০% চার্জ। বৃষ্টি বা ধুলো বালি থেকে রক্ষা পেতে এই স্মার্টফোনটিতে আছে আইপি ৬৪ এর রেটিং।

হেলিও ১০০ ফোনটিতে রয়েছে ৪G/৩G/২G, Wi-Fi, GPS-AGPS, GLONASS, Galileo, Beidou এবং OTG ব্যবহার করার সুবিধা। নিরাপত্তার কথা আসলে এই ফোনটিতে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক ফিচার যা দ্রুত এবং নিরাপদে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে। এছাড়াও জি সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, লাইট সেন্সরের পাশাপাশি জাইরোস্কোপ সেন্সর এবং ম্যাগনেটিক সেন্সরও আছে এই হ্যান্ডসেটটিতে। তাছাড়াও, এই হ্যান্ডসেটতিতে আরো কিছু স্পেশাল ফিচার আছে যেমন, ডুয়াল ক্যামেরা মোড, এন্টি থেফট অ্যালার্ম, এজ লাইটিং মোড, নয়েজ ক্যানসেলেশন ইত্যাদি।

অবিশ্বাস্য ফিচার এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের সঙ্গে দুটি চমৎকার কালার অপশন –কসমিক গোল্ড এবং সুপার নোভা ব্লু সহ হেলিও ১০০ ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনে এনে দিবে সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা। স্লিম ডিজাইন এবং উজ্জ্বল রঙ সহ, এই স্মার্টফোনটি কেবল অসাধারণ পারফরম্যান্সই দিবে না, এটি দেখতে এবং হাত দিয়ে ধরতেও প্রিমিয়াম অনুভূতি দিবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল কাউবেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল কাউবেল

বিশ্বমানের দুগ্ধজাত পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ‘কাউবেল’। সম্প্রতি আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাউবেল তাদের বিশেষ পণ্যসমূহ উন্মোচন করে। এর মধ্যে রয়েছে কাউবেল প্রিমিয়াম ফুল ক্রিম মিল্ক, কাউবেল মোজারেলা চিজ, কাউবেল চেডার চিজ এবং কাউবেল কাশকাভাল চিজ—যা একটি বুলগেরিয়ান চিজ এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কম্পানির চেয়ারম্যান আবু রেজা খান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবিদ রেজা খান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সাফওয়ান মাহমুদ, তুর্কি প্রোডাকশন বিশেষজ্ঞ আহমেত কারাকাস এবং ডেপুটি ম্যানেজার (সেলস অপারেশন) সামিউল চৌধুরী।

ব্র্যান্ডের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা কাউবেলের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন, যেখানে গুণগত মান, উদ্ভাবন ও পুষ্টির প্রতিশ্রুতি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে।

চেয়ারম্যান আবু রেজা খান বলেন, ‘কাউবেল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সেরা মানের দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন শুরু হয় গবাদিপশুর সঠিক যত্ন থেকে। আমাদের সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং সিস্টেম উন্নত এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি ধাপকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা নিরাপদ, পুষ্টিকর ও সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন দুগ্ধ পণ্য নিশ্চিত করে।’

ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবিদ রেজা খান বলেন, ‘কাউবেল বাংলাদেশের দুগ্ধশিল্পে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে এসেছে, যেখানে বিশুদ্ধতা ও পুষ্টিগুণের সঙ্গে কোনো আপোস নেই।

তুর্কি প্রোডাকশন বিশেষজ্ঞ আহমেত কারাকাস বলেন, ‘আমরা আধুনিক তুর্কি প্রযুক্তিকে আমাদের অত্যাধুনিক দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে একীভূত করেছি, যাতে প্রতিটি পণ্যের গুণগত মান সুনিশ্চিত করা যায়।’

ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সাফওয়ান মাহমুদ বলেন, ‘কাউবেল কেবল পুষ্টির কথা ভাবছে না, বরং ভোক্তাদের আস্থা গড়ে তোলার জন্যও কাজ করছে।’

কাউবেলের অন্যতম বিশেষত্ব হলো এআই-চালিত প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা এবং সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং সিস্টেম। গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদন, প্রতিপালন, দুধ সংগ্রহ ও প্যাকেজিং—প্রতিটি ধাপ শতভাগ নজরদারির মধ্যে থাকে এবং কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হয়।

প্রতিটি গরুকে আলাদাভাবে ট্র্যাক করা হয় এবং সর্বোচ্চ আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়, যা দুধের গুণগত মান ও পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন, এআই-নিয়ন্ত্রিত গবাদিপশু ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যকর বোতলজাত দুধ এবং তুর্কি প্রযুক্তি ও দক্ষতায় প্রস্তুত তাজা পনিরের (মোজারেলা, চেডার ও কাশকাভাল) সমন্বয়ে কাউবেল বাংলাদেশের জন্য নিয়ে এসেছে খাঁটি দুগ্ধজাত পণ্যের নিশ্চয়তা, যা নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।

অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ও এআই মনিটরিং প্রযুক্তির মাধ্যমে কাউবেল সর্বোচ্চ মান, সতেজতা ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করে। আমাদের বোতলজাত দুধের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে খামার থেকে বোতল পর্যন্ত বিশুদ্ধতা, আর আমাদের তাজা চিজ বিশ্বমানের দুগ্ধজাত পণ্যের মানদণ্ড পূরণ করে।

বর্তমানে কাউবেলের প্রিমিয়াম দুগ্ধজাত পণ্য ইউনিমার্ট, স্বপ্ন, মীনা বাজার, ল্যাভেন্ডার, আপন ফ্যামিলি মার্ট, লাজ ফার্মা এবং ফুডপান্ডা-তে পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও, ধানমণ্ডির কিছু নির্বাচিত স্টোরেও কাউবেলের পণ্য পাওয়া যাবে।

উন্নত প্রযুক্তি, সর্বোচ্চ মান এবং নৈতিক দুগ্ধ উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাউবেল বাংলাদেশের দুগ্ধশিল্পে একটি নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠতে প্রস্তুত।

মন্তব্য

এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নেয়ার হলেন হলেন মর্তুজা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নেয়ার হলেন হলেন মর্তুজা
সংগৃহীত ছবি

সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে মিলিয়নেয়ার হয়েছেন আরো একজন। তিনি হলেন রাজধানীর শনির আখড়ায় তুষারধারা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আলী মর্তুজা। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলী মর্তুজা ওয়ালটনের কাছ থেকে পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এর আগে দেশজুড়ে চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নেয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির এবং নেত্রকোনার কৃষক খোকন মিয়া।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে শনির আখড়ার নয়াপাড়া এলাকায় ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘ইলেক্ট্রো ভিশন’ এ আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতা মর্তুজার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ।

উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারও মিলিয়নেয়ার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আযহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এ ছাড়া আছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় চলতি মাসের ৮ তারিখ শনির আখড়ায় ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘ইলেক্ট্রো ভিশন’ থেকে ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কেনেন মর্তুজা। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি মেসেজ যায়। ঈদের আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন ১ ছেলে ও ১ মেয়ের বাবা মর্তুজা।

অনুষ্ঠানে আলী মর্তুজা বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়া পাব এটা কখনো ভাবনায় ছিল না। অনেক কোম্পানি ক্রেতাকে দেওয়া কথা রাখে না। ওয়ালটন সেখানে ব্যতিক্রম। সেজন্য ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনিরুল হক মনা, ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ইলেক্ট্রো ভিশন শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী বেলায়েত হোসাইন প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ