<p>যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুরে চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে টিকার কার্ড। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে দীনমজুর শ্রেণির মানুষ। তারা ধারদেনা করে হলেও জন্ম নিবন্ধনের জন্য চড়া দাম দিয়ে টিকার কার্ড নিতে বাধ্য হচ্ছে। পুরনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও তারিখ দিয়ে এসব কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>ভবানীপুর গ্রামের ইউনুছ আলী অভিযোগ করেছেন তার মেয়ে লাইচা আক্তারের টিকার কার্ড আনতে গেলে ব্লক-গ/১ এর আব্দুর রহমান কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী/টিকাদানকর্মী কামরুজ্জামান ৬ হাজার টাকা দাবি করে। পরে অনেক অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে সাতশ' টাকা দিয়ে টিকার কার্ড সংগ্রহ করেন। তার কার্ডে রেজিস্ট্রেশনের তারিখ লেখা আছে ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল।</p> <p>তিনি বলেন, আরো ১০ জনের কাছ থেকে টিকার কার্ড দিয়ে টাকা নেওয়া ও গ্রামের আরো অনেকের কাছে কার্ড বাবদ স্বাস্থ্য সহকারী কামরুজ্জামান টাকা চেয়েছে যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।</p> <p>রুদ্র্রপুর বাজারের সার ব্যবসায়ী সোহারব হোসেন জানান, ইউনুছ আলী বুধবার সকালে তার দোকানে এসে দুঃখ করে বলেন, ভাই আমার মোটেও দিন চলে না তার ওপরে সাতশ' টাকা দিয়ে আমাকে টিকার কার্ড নিতে হলো। এক হাজার টাকার নিচে দেবেই না। অনেক কাকুতি মিনতি করে ৭শ'টাকা দিয়ে টিকার কার্ড সংগ্রহ করেছি।</p> <p>রুদ্রপুর গ্রামের ইউপি সদস্য হবিবর রহমান বলেন, ইউনুছ আলী স্বাস্থ্য সহকারী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে টিকার কার্ড প্রদানের বিষয়টি তার কাছে স্বীকার করেছেন।</p> <p>এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সহকারী কামরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনুছ আলীর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তিনি কলারোয়া থানার কাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা। ইউপি সদস্য প্রত্যায়নপত্র দেওয়ার পরে তাকে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। অন্য থানার বাসিন্দাকে কেন কার্ড দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।</p> <p>এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অশোক কুমার জানান, টিকার কার্ডের জন্য টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সংশ্লিস্ট স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। </p>