<p>পানছড়ি উপজেলায় এবার এসএসসিতে একমাত্র জিপিএ ৫ পেয়েছে প্রতিবন্ধী দিপা নন্দী। সে পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। চতুর্থ</p> <p>শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ ৫, পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সপ্তম শ্রেণির জেলা পরিষদ বৃত্তি, জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল সে। দিপার বাবা সুভাষ নন্দী তার জন্মের পর মা-মেয়েকে পাঠিয়ে দেন বাপের বাড়ি। দিপার মা পপি দাশ মানসিক প্রতিবন্ধী। সেই থেকে দিপা তার মামা-মামির আশ্রয়ে রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার পানছড়ি বাজারের পাশেই হাজারী টিলায় মামা সঞ্জয় দাশ ও চুমকি বিশ্বাসের ভাড়া বাসায় মাসহ থাকে সে।</p> <p>দিপা বলেছে, ‘মামা-মামির আশ্রয়ে বেড়ে উঠেছি পানছড়িতে। তাদের অভাবের সংসারে কোনো দিন অভাব অনুভব করিনি। যখন যা দরকার সময়মতো পেয়েছি। আমার স্বপ্ন ব্যাংকার হওয়া।’</p> <p>পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, দিপা শান্ত স্বভাবের। লেখাপড়ার প্রতি তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ আছে। তার হাতের লেখাও চমৎকার। বিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সুবিধা তাকে দেওয়া হয়েছে। তবু অসহায় প্রতিবন্ধী মেধাবী দিপার সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।</p> <p>দিপার মামি চুমকি বিশ্বাস বলেন, ‘তিন-চার বছর বয়স থেকেই সে আমাদের সংসারে। অভাবের সংসারে যতটুকু সম্ভব ওর চাহিদা মেটাতে আমরা চেষ্টা করি।’</p> <p>পানছড়ি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সে আমাদের গর্ব। প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।’</p> <p>খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শাহজাহান বলেন, ‘দিপার জিপিএ ৫ পাওয়ার খবরটি শুনে খুবই খুশি হয়েছি। জেলা প্রতিবন্ধী অফিস সব সময় দিপার পাশে থাকবে।’</p> <p>পানছড়ির সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) মুহাম্মদ আবুল হাশেম কালের কণ্ঠ’কে বলেন, ‘দিপার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ আমি বহন করব।’</p>